মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট (Madhya Pradesh High court) যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা যায় কি না, কেন্দ্রকে সেই পরামর্শই দিল । বিচারপতি দীপক কুমার আগরওয়ালের বেঞ্চে ধর্ষণের একটি মামলা ছিল। ১৬ বছরের এক ছাত্রী ২০ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । বিচারপতি মনে করেছেন সম্মতির বয়স কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অযথা কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে অনেক পুরুষকে।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটে খড়কুটোর মতোই উড়ে যাবে বিজেপি
ওই মামলায় ২০ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ ছিল ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে ও ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল বলে জানানো হয়। ওই বছর যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিশোরীর বয়স ১৮-র কম হওয়ায় শিশু নির্যাতন (POCSO) আইনে মামলা রুজু হয়েছিল।
আরও পড়ুন-ঘুমে আচ্ছন্ন যাত্রীরা, জ্বলে উঠল বাস
তার ওপর অভিযোগ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। হাইকোর্টের নির্দেশে জানানো হয় এই অবস্থায় কিশোরীর বয়স নয়, তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের দিকটা দেখতে হবে। বিচারপতি মনে করছেন এই ঘটনায় ভাল-মন্দ বিচার করার মতো কিশোরীর যথেষ্ট বয়স হয়েছিল।
আরও পড়ুন-লাল-গেরুয়া দলের অপপ্রচারের জবাব দেবে মানুষ
আগে সম্মতির বয়স ছিল ১৬, সেটা বাড়িয়ে ১৮ করা হয়। কিন্তু তাতে সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ছে বলে জানান বিচারপতি। ইন্টারনেট আর সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবে ১৪ বছর বয়স থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়ে যায় আজকালকার কিশোর-কিশোরীরা। ওই বয়সেই একে অপরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণ তৈরি হয়। কিন্তু আইনের অপব্যবহার করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। পুরুষকেই অপরাধী হিসেবে কোর্টে যেতে হয়। বিচারপতি বলেন, সাধারণ ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়, সম্পর্ক তৈরি হয়, তারপর হয় শারীরিক সম্পর্ক। দুজনের সম্মতিতে সম্পর্ক হয় কিন্তু পুরুষের দিকে আঙুল ওঠে। তাই এই সামাজিক পরিস্থিতিতে সম্মতির বয়স পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে।