সংবাদদাতা, হলদিয়া : মহিষাদলের গেঁওখালিতে উইক এন্ড ট্যুরিজমের হারানো গৌরব ফেরাতে এবার নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এইচডিএ)। এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও মহিষাদল রাজবাড়ি ঘিরে প্রায় দু’দশক আগের সার্কিট ট্যুরিজমের ভাবনা নতুন আঙ্গিকে ফেরাতে চলেছে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-ঝড়ে বিধ্বস্ত বিকেল, বাজে মৃত্যু ২
‘পরিবেশ পর্যটন’-এর মোড়কে তাকে সময়োপযোগী করে আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। পর্যটনের নতুন সঙ্গী হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ বা গ্রিন এনার্জি এবং গ্রামজীবন। হুগলি, রূপনারায়ণ এবং দামোদর— এই তিন নদীর মিলিত ধারার পাশেই মহিষাদলের গেঁওখালি জলপ্রকল্প। তিন নদীর মিলিত ধারার নাম ত্রিবেণী সঙ্গম। গেঁওখালির ত্রিবেণী রিসর্ট-সহ হলদিয়া ভবনের মতো নিজস্ব পর্যটক আবাসগুলিকে ঘিরে পরিবেশ পর্যটনের একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ১৭ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করেছে এইচডিএ। এনার্জি পার্কের উৎপন্ন সৌরবিদ্যুতেই চলবে গেঁওখালি জলপ্রকল্প এবং পর্যটন কেন্দ্র। একই সঙ্গে গেঁওখালির পর্যটক আবাসকে ঘিরে হচ্ছে লাইভলিহুড পার্ক। এই পার্কে তুলে আনা হচ্ছে স্বনির্ভর গ্রামজীবনের ছবি। সহযোগিতা করছে হলদিয়ার বিভিন্ন শিল্পসংস্থা।
আরও পড়ুন-নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনে যাবে না তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রপতির বদলে কেন প্রধানমন্ত্রী?
এইচডিএর চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘‘গেঁওখালিতে নমামী গঙ্গে প্রকল্পে সোলার এনার্জি পার্ক গড়ছে এইচডিএ। ১৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। এখানে সাড়ে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হবে। জলপ্রকল্পের পাশাপাশি ত্রিবেণী সঙ্গম রিসর্টে এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে লাইভলিহুড পার্ক গড়ার কাজ চলছে। পর্যটকদের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে হলদিয়া ভবন।’’ এইচডিএর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর বলেন, ‘‘হলদিয়া ভবনকে আরও আকর্ষণীয় করতে ৮৭ লক্ষ টাকা খরচে ৭ একর জমির উপর একটি লাইভলিহুড পার্ক গড়ার কাজ শুরু হয়েছে আইওসি-র টাকায়।’’