সৌম্য সিংহ : উন্নয়ন এবং সৌহার্দ্য- এই দু’টি বিষয় স্বতন্ত্র মাত্রা দিয়েছে কলকাতা পুরসভার ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিত পথে এই এলাকায় উন্নয়ন অভিযানে সফল সেনাপতির ভূমিকায় সামসুজ্জামান আনসারি। গার্ডেনরিচ থেকে মেটিয়াবুরুজ, দীর্ঘ সময়ের এক সুপরিচিত নাম। ১৯৯০ থেকে জনতার রায়ে ৬ বারের কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-এক ফোনেই হাজির জুঁই
২০০০ সাল থেকে টানা ৩ বার মেয়র পারিষদ। এবারেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডেই ভোটপ্রার্থী। বঙ্গভাষী, উর্দুভাষী এবং হিন্দিভাষীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এখানে। এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ সচেতন বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। সব সম্প্রদায়েরই ভরসার জায়গা সামসুজ্জামান আনসারি। তাই হাসিমুখে সন্তোষপুর রোড, মুদিয়ালি ফার্স্ট লেন, মুদিয়ালি সেকেন্ড লেন, ফতেপুর ফার্স্ট লেন, সেকেন্ড লেন, নোনাপুকুর, শিবনগর, আক্রা রোড, সিমপুকুর লাইন এলাকায় গলি থেকে রাজপথে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি, নির্বাচনের আগে জনসংযোগ ঝালিয়ে নিতে।
আরও পড়ুন-মানুষের পাশে ২৪ x৭
বলছেন, ‘‘১৩৬ কে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের পাশে পেতে চাই আমি।’’ এলাকার প্রায় ৬০ শতাংশ বস্তি। বাম জমানার নরকযন্ত্রণা থেকে বস্তিবাসীকে মুক্তি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড। পানীয় জল, নিকাশি, রাস্তা, আলোয় আজ নতুন চেহারা নিয়েছে বস্তি। বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরের উঠোনও। বিনাখরচে শিশুরা এখন ভর্তি হতে পারে স্কুলে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম ডিভিশনে পাশ করলে কৃতীদের হাতে ৫০০০ টাকা পুরস্কার তুলে দেন কাউন্সিলর।