বর্ষায় দুই পাহাড়ি রাজ্যের পরস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। আবারও উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে (Uttarakhand-Himachal Rain) ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জারি করল মৌসম ভবন। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু এলাকায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand-Himachal Rain) তেহরি জেলার চম্বা এলাকায় ধস নেমে মৃত্যু হয় ৪ জনের, তার মধ্যে ছিল দুই মহিলা, চার মাসের এক শিশুও। আরও একজন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এবার আবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে হড়পা বান এবং ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আজব তারার গল্পকথা
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, “১০হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাট ঠিক করা, জল প্রকল্পগুলি নতুন করে শুরু করা- এ যেন এক পাহাড়সমান চ্যালেঞ্জ। সমস্ত মেরামত করতে এক বছর সময় লাগবে।“
এদিকে সিমলার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সুরেন্দ্র পাল এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “চলতি বছর জুলাইয়ে হিমাচল প্রদেশে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।“ অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ২২ অগাস্ট অর্থাৎ আজ উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার ভিলাঙ্গানা, চম্বা, নরেন্দ্র নগর, জৌনপুরে সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির জেরে দেরাদুন, পৌড়ী, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।