প্রতিবেদন : শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মুখোমুখি হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সমন মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাঁচির ইডির দফতরে ঠিক সময়েই হাজির হন। ইডির দফতরে সামনে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি নির্দোষ। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। বিজেপির পরিকল্পনা মতো ভুয়ো অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে ইডি।
আরও পড়ুন-ইউজিসির উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উচিত ছিল, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকার আগে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া। ইডি এমন একটা ভাব করছে, যেন তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। বেআইনিভাবে খনি খননের মামলায় ইডি হেমন্তকে তলব করে। দু সপ্তাহ আগে হেমন্তকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। সেবার ইডির সমনকে পাত্তা দেননি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বরং তিনি পাল্টা বলেছিলেন, তিনি ইডিকে ভয় পান না। তিনি যদি কোনও অপরাধ করে থাকেন তবে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। তলব করার কোনও প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন-আপনি কি আমার শর্তে কাজ করতে রাজি? কর্মীদের প্রশ্ন মাস্কের
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ইডি বলেছে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অথচ ঝাড়খণ্ডে খনি থেকে আদায় হওয়া মোট রাজস্বের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা নয়। কীসের ভিত্তিতে ইডি এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ করছে তা বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এসবের পিছনে রয়েছে বিজেপির চক্রান্ত। গেরুয়া দল দেশের সর্বত্র অবিজেপি সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। তারা ঝাড়ণ্ডেও একই চেষ্টা করছে। তবে তাদের এই চেষ্টা সফল হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আসায় এদিন রাঁচিতে ইডি অফিসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। নিয়োগ করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও আধা সেনা।