২০ নভেম্বর থেকে গ্রামে গ্রামে চাটাই পেতে সভা, বিজেপির খবর দিন, পরে নেব ধাপে ধাপে

এখন বিজেপিতে থেকেই খবর দিন, পরে ধাপে ধাপে দলে নেব। নন্দীগ্রামে আদি বিজেপি নেতাদের বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের

Must read

প্রতিবেদন : এখন বিজেপিতে থেকেই খবর দিন, পরে ধাপে ধাপে দলে নেব। নন্দীগ্রামে আদি বিজেপি নেতাদের বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।

আরও পড়ুন-বিজেপির ইঙ্গিতেই ইডির চক্রান্ত, দাবি হেমন্ত সোরেনের

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের একাধিক আদি বিজেপি নেতা-কর্মী তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গত কয়েকদিন কথা বলার পর এদিনও দুপুরে ফোনে তাঁরা কথা বলে বিজেপি ছাড়ার কথা জানান। তাঁরা বলেন, আমাদের লড়াই তো শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই। তখন তৃণমূলে থেকে ছড়ি ঘুরিয়েছে, এখন বিজেপিতে এসেও একই কাজ করছে। ঘটনা হল, এঁদের অনেকেই এখনও শুভেন্দুর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে থাকছেন। সেই ছবিও তাঁরা পাঠিয়েছেন। তবে কুণাল ঘোষের বার্তা, এখনই নয়। এখন বিজেপিতেই থাকুন, শুভেন্দুর সঙ্গেই থাকুন। ছবি তুলে পাঠান। ওদিককার খবরাখবর দিন। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আমি কথা বলব। ধাপে ধাপে আপনাদের তৃণমূল কংগ্রেসে নেব। ফলে স্বভাবতই নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ধস অবশ্যম্ভাবী। কুণালের ঘোষের কথায়, নন্দীগ্রামে দিদির দল আবার জাগছে। নতুন-পুরনোর মিশেলে ঐক্যবদ্ধ তৃণমূলের ছবি ধরা পড়ছে সর্বত্র।

আরও পড়ুন-ইউজিসির উদ্যোগ

বৃহস্পতিবার দিনভর কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক- জনসভা-জনসংযোগ করেন নন্দীগ্রাম জুড়ে। এদিন নন্দীগ্রাম ১-এর দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে অতীত ভুলে সকলে একসঙ্গে মিলে কাজ করার বার্তা দেন। বিকেলে দাউদপুরের জনসভাতেও বিজেপি ও গদ্দার শুভেন্দুকে তুলোধোনা করেন তিনি। ঠিক হয়েছে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে নন্দীগ্রাম ১ ও ২-এ গ্রামে গ্রামে চাটাই পেতে পল্লিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ছোট সভা করবেন দলীয় নেতৃত্ব। দলের নির্দেশ, কোনও বড় মঞ্চ বেঁধে বড় সভা নয়, একেবারে চাটাইয়ে বসে মুড়ি-বাদাম-চপ সহযোগে গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতিগুলি তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির সুফল বলতে বলতে হবে।

আরও পড়ুন-আপনি কি আমার শর্তে কাজ করতে রাজি? কর্মীদের প্রশ্ন মাস্কের

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম ১-এর কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে কুণাল ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, অতীতে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করুন। নন্দীগ্রামে একজন লোডশেডিং করে জিতল। আমাদের ছেলেরা কী করছিল? তাঁর সংযোজন, ভোটের দিন কার কী ভূমিকা ছিল শীর্ষ নেতৃত্ব সবটা জানেন। ওরা কারচুপি করল আর আমরা চুপ করে বসে থাকলাম? এবার সামনে তাকান। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে দলকে জানান, শুনব। নন্দীগ্রাম ১-এর ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন দাউদপুরের সভাতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।

আরও পড়ুন-১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য নিষিদ্ধ মোবাইল ফোন

সভায় কুণাল বলেন, বিজেপি- শুভেন্দু হিন্দু-মুসলমান করছে। আপনারা কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। এরপরই তাঁর তোপ, বিজেপির যারা হামলা করল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ঘরে ঘুমোবে আর বিনা দোষে তৃণমূলের ছেলেরা জেলে থাকবে এটা কোনও ন্যায়বিচার হতে পারে না। বিজেপির নেতা-কর্মী-ভাইবোনদের বলব, শুভেন্দু তো ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গেছে। আপনারা ওই তোলাবাজ-গদ্দার- বেইমানের নামে জিন্দাবাদ বলবেন! দাউদপুরের সভায় অঞ্চল সভাপতি দুলাল চন্দ্র দাস ছাড়াও ছিলেন, শামসুর ইসলাম, শেখ আল রাজি প্রমুখ। এদিন সন্ধ্যায় হলদিয়ার ইসকন মন্দির ঘুরে দেখেন কুণাল। এদিনই প্রভুর মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়।

Latest article