প্রতিবেদন : ব্রিগেডে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জনগর্জন সভায় রেকর্ড ভিড় হয়েছিলেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। তবে সুশৃঙ্খলভাবে সেই ভিড় সামাল দিয়ে হিরোর তকমা ছিনিয়ে নিলেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ (Kolkata Police)। এমন ভিড় হবে একটা আন্দাজ করা গেলেও বাস্তবে কেমন পরিণতি নেবে তা ঠাওর করা যায়নি। সেখানে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ পরিকল্পনা করে বিপুল মানুষের ভিড় সামলে দিয়ে কার্যত হিরো বনে গিয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এদিন ভিড়কে কেন্দ্র করে ঘটেনি।
আরও পড়ুন-রানাঘাটে প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
বরং মানুষ সাহায্য চেয়ে পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকদের দক্ষতাও বিশেষ করে দায়ী। ব্রিগেড শুরুর সময় এবং সমাবেশ ভাঙার পর রাজপথে যেভাবে জনপ্লাবন আছড়ে পড়েছিল তখন কলকাতা পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতি সামলে মহানগরকে মসৃণ করে তুলেছিল। কোথায় পার্কিং জোন করা হবে বা কোথায় পার্কিং করা যাবে না, কোন পথ দিয়ে গাড়ি ঘোরানো হবে, কোথায় কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না, সব ছিল নখদর্পণে। এদিন ৪ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল শহর জুড়ে। পুলিশ কুকুর দিয়ে চালানো হয়েছিল তল্লাশি। আশেপাশের উঁচু বাড়ি থেকে শক্তিশালী দূরবীনে নজরদারি ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং ড্রোনের মাধ্যমে চলে নজরদারি। ছিল মহিলা পুলিশও। পার্কিং ব্যবস্থা থেকে দিক নির্দেশ সবটাই ঠান্ডা মাথায় সামলেছে কলকাতা পুলিশ।