প্রতিবেদন : লক্ষ্য শিল্প,কর্মসংস্থান এবং অবশ্যই রাজস্ব। ইএম বাইপাসের কাছেই ১০ একর জমি নিলামে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিডকো (HIDCO)। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে টেগোর পার্কের পাশে নোনাডাঙা-চৌভাগা এলাকায় অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এই জমি একই সঙ্গে আবাসন এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য ডাকা হয়েছে নিলাম। শুরুর বা ন্যূনতম দাম ধার্য করা হয়েছে ১৭৭.৩ কোটি টাকা। এই ধরনের আরও অব্যবহৃত খাসজমি চিহ্নিত করে সহজ শর্তে নিলাম করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই উৎসাহিত শিল্প এবং বাণিজ্য মহল। শুধু রাজ্য নয়, ভিনরাজ্য এবং বিদেশের শিল্পোদ্যোগীরাও ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিনিয়োগে। মূলত আবাসন শিল্প এবং অত্যাধুনিক শপিং মল নির্মাণেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কারণ পরিকাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধের প্রশ্নে বাইপাস এলাকায় উন্নয়নের ধারা গত এক দশকে নিঃসন্দেহে পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মানে। শুধুমাত্র বাইপাস ও লাগোয়া এলাকাই নয়, রাজারহাটে ৬.২ একর জমিতে অত্যাধুনিক আবাসন প্রকল্পের জন্য এবং আলিপুরে ৫.৬ একর জমি একই লক্ষ্যে হস্তান্তরের জন্য ডাকা হয়েছে নিলাম। ই-অকশনে শুরুর দাম উঠেছে যথাক্রমে ২০৩ কোটি এবং ৪০০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থানের নতুন দরজা উন্মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি রাজস্বের অঙ্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নিঃসন্দেহে রাজ্যের এ এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মূলত আবাসন শিল্পকে আরও প্রসারিত করাই রাজ্যের লক্ষ্য। কারণ এই শিল্পে ব্যাপক কর্মসংস্থানের (HIDCO) সম্ভাবনা। আশাতীত আর্থিক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে জমি হস্তান্তরের এই পরিকল্পনায়। আসলে রাজ্যের এই উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে প্রধানত দু’টি কারণে। ইএম বাইপাসের প্রশস্ত অত্যাধুনিক রাস্তা, ফ্লাইওভার, মেট্রো, শপিং মল, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল–সহ নানা পরিকাঠামোগত এবং সামাজিক সুবিধে অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে অত্যাধুনিক আবাসন শিল্পে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। দ্বিতীয়ত, জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া রাজ্যের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় অত্যন্ত নিরাপদ বোধ করছেন বিনিয়োগকারীরা। সেই কারণেই রাজ্যের এই নয়া উদ্যোগ এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে আবাসন শিল্পে।
বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন দেশ-বিদেশের শিল্পোদ্যেগীরা
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জমি দিচ্ছে হিডকো