প্রতিবেদন : সোমবারের পরে মঙ্গলবার, ফের আদালতে বড় ধাক্কা খেয়ে নাস্তানাবুদ বিরোধী দলনেতা। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ নিয়ে তাঁর এবং আর এক বিজেপি নেতার দায়ের করা দু’টি মামলাই এদিন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, একেবারেই অপরিণত অবস্থায় তদন্ত। তাই মামলার শুনানি এখনই সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন-বিশ্ব মিটে চানু ওজন তুলবেন না
এদিন মামলাটি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে। প্রধান বিচারপতির অভিমত, ২৭ অগাস্ট দুপুরে ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়েছে সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে। রাজ্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। এটা এখনও প্রিম্যাচিওর। অন্য রাজ্যেও একই ধরনের ঘটনার কথাও ওঠে শুনানি প্রসঙ্গে। শুনানিতে আর একটি পক্ষ ছিল এনআইএ। বলার সুযোগই পাননি বিজেপির আইনজীবী। মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবারই বিরোধী দলনেতাকে ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এদিকে বিস্ফোরণের পর তল্লাশি, ধরপাকড় জারি আছে।
আরও পড়ুন-৯০ মিটারে চোখ নীরজের, এবার সামনে জুরিখ ডায়মন্ড লিগ
এদিন ৩ ট্রাক বাজি উদ্ধার করে এসটিএফ। ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন সন্ধ্যায় আমডাঙার বেড়াবেড়িয়ায় একটি ধরম কাঁটা থেকে ওই বাজি উদ্ধার হয়। নিষিদ্ধ বাজি ভর্তি ওই তিনটি ট্রাক-সহ একজন বাজি ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রাকে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে পাচার হচ্ছিল বাজি। ধৃতদের নাম বিমল ধাড়া ও শরিফ আলি। বারাসত পুলিশ জেলার এসপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ টন বাজি ও মশলা উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত রমজান আলি এখনও পলাতক। শফিক আলিকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন বিকেলে ফের উত্তেজনা ছড়ায় মোচপোলে। বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আজিবর রহমান, তার ছেলে আতিয়ার রহমান বাড়িতে এলে এলাকার মানুষ তাঁদের পুলিশের তুলে দেয়।