সংবাদদাতা, দিঘা : তেলিয়া ভোলার জ্যাকপটে রাতারাতি কোটিপতি দিঘার (Digha) মৎস্যজীবী মনা খাঁ। বিভিন্ন গুণের জন্য এই মাছটিকে মৎস্যজীবীরা ‘সমুদ্রের রত্ন’ বলে থাকেন। বিদেশে এই মাছকে ‘ক্রসওয়েলরাং ফিশ’ বলে। এরা সাধারণত গভীর সমুদ্রে থাকে। মনার ‘মা সিদ্ধেশ্বরী’ ট্রলারে ১২১টা তেলিয়া ভোলা একঝাঁকেই ধরা পড়েছে। ওজন ১৭ থেকে ১৮ কেজি। মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে দিঘায় আসা পর্যটক–সহ প্রচুর উৎসাহী মানুষ ভিড় করেন। চলতি বছরে আশানুরূপ ইলিশ বা অন্য মাছ ওঠেনি। মন্দার এই বাজারে তেলিয়া ভোলা যেন কোটি টাকার লটারি। গত অক্টোবর এবং নভেম্বরে দিঘা (Digha) মোহানায় এই মহার্ঘ মাছ উঠেছিল।
নতুন বছরে ফের কোটি টাকার বেশি দামের ভোলা। এই মাছ মূল্যবান, কারণ তেল, পটকা ও মাংস থেকে তৈরি হয় জীবনদায়ী ওষুধ। বিশেষত ক্যাপসুলের খোল তৈরির ক্ষেত্রে পটকার চাহিদা খুব। আয়তনে এই মাছ যত বড় হয়, দামও বাড়ে। দামি সুপে ব্যবহৃত হয় এই মাছ। এতে জিঙ্ক ও আয়োডিন আছে। জিঙ্ক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আয়োডিন গলগণ্ড প্রতিরোধ করে। এই মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এইসব কারণেই তেলিয়া ভোলার চাহিদা ব্যাপক।