প্রতিবেদন : প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন শান্তিপুরের ডাকঘর লাহিড়ীবাড়ির কালীপুজো। এই পুজো প্রথম শুরু করেন গঙ্গাকান্ত লাহিড়ী ১৭৬৯ সালে। ছোট খড়ের চালার মন্দিরে তখন মায়ের পুজো হত। পরে ঠাকুর দালান নির্মাণ হয়। পুজোয় প্রথম দিকে পশুবলি হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে চালকুমড়ো, আখ, শশা ও কলাবলি হয়। সেই প্রথা আজও চলছে।
আরও পড়ুন-রোহিতদের পরামর্শ বিন্দ্রার
লাহিড়ীবাড়ির কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ ধুনো পোড়ানো। বংশের বড়বৌ মায়ের সামনে বসেন দু’হাতে আর মাথায় মাটির সরা নিয়ে। তাতে রাখা ধুনো পড়ানো হয়। সেই সময় বাড়ির ছোটরা তাঁর কোলে বসে আশীর্বাদ নেয়। এই ঐতিহ্য আজও বহন করে চলেছেন বর্তমান প্রজন্ম। মায়ের ভোগে থাকে খিচুড়ির সঙ্গে পাঁচ ভাজা, নানারকম তরকারি, পোলাও এবং ইলিশ ও চিংড়ি মাছ। থাকে চাটনি, পায়েস ও নানারকম মিষ্টান্ন। এই ভোগ দেখতে রবিবার কালীপুজোর রাতে এলাকার মানুষ সোৎসাহে ভিড় করেন।