চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া : বেড়াতে গিয়েছিল কাটোয়া ও দাঁইহাটের তিনটি পরিবার। কাটোয়া শহরের ন্যাশনাল পাড়ার শিক্ষক শুভাশিস প্রধান, স্ত্রী দীপালি ও ছ’বছরের সন্তান সুলভ। দাঁইহাটের কালনা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক পীযূষ রায় ও স্ত্রী দেবশ্রী এবং কাটোয়ার শিক্ষক দম্পতি শঙ্কর সিংহ ও রিঙ্কু সিংহ। শিমলা, লাহুল স্পিতি-সহ হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ঘেরা জায়গাগুলোকে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল।
আরও পড়ুন : নভেম্বরে শুরু ধান কেনা
সেই স্বপ্নই দুঃস্বপ্নে মোড় নিল আচমকা দুর্যোগ আর মুহুর্মুহু ধস নামায়। ভারতীয় সেনার ডোগরা রেজিমেন্টের একদল জওয়ানের তৎপরতায় শিবিরে আশ্রয় জুটেছে। ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল, শিমলা থেকে ১৩ অক্টোবর রওনা হয়ে ওঁরা কলপা ও তাবো পৌঁছন। তাবো থেকে ১৮ অক্টোবর যান কুহু। সন্ধের পর শুরু হয় ধস নামা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ বাড়তে থাকে। বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাবারে টান পড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যা বেশি হয়। চারপাশের আর্তনাদ আর হাহাকারের মাঝেই উদয় হন একদল জওয়ান। নিজেদের শিবিরে নিয়ে যান। গরম চা আর হালুয়া খাওয়ান। সকলেরই এক কথা, নবজন্ম হল। এদিকে গ্যাংটকে আটকে পড়েন কাটোয়ার বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পী তাপস দাস ও তাঁর পরিবার। জানালেন, ধসে রাস্তা বন্ধ। হোটেলে বন্দি। ঘুরপথে নিউজলপাইগুড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছি।