রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : করোনা কারণে রঙের উৎসব পালন করেননি পাহাড়বাসী। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। সবই ফিরেছে স্বাভবিক ছন্দে। তাই পলাশের রঙে বসন্তকে বরণ করে নিতে তরাই-ডুয়ার্সে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের তরাই ডুয়ার্স শিলিগুড়ি শহরে একাধিক জায়গায় ছোট-বড় পরিসরে বসন্ত উদযাপনে মেতে উঠেছে বাঙালি। হোলির সঙ্গে বসন্তের অন্যন্য ভাবনাকে স্পষ্ট করেই মেলবন্ধনের বার্তা দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ১৮ মার্চের আগে পর্যন্ত রয়েছে বসন্ত উৎসব।
আরও পড়ুন-পটাশপুরে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড
আর এতেই দোলযাত্রার নির্দিষ্ট দিনের আগেই ক্রেতার সমাগমে চনমনে হয়ে উঠেছে আবির ও রঙের বাজার। একই সঙ্গে বেড়েছে ফুলের দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। কারণ শান্তিনিকেতনের আদলে বসন্ত উৎসবই হোক কিংবা অযোধ্যার ঐতিহাসিক পলাশ পার্বণ-এর অনুকরণ, সবেতেই পলাশ ফুল অপরিহার্য হয়ে উঠছে বসন্ত উৎসবের উদ্যোক্তাদের কাছে। কেজি কেজি দরে গাঁদা, পলাশ কিনছেন ক্রেতারা। ফুল বিক্রেতা অতীশ পাল বলেন, ‘‘এবার পলাশ ব্যাপক বিকোচ্ছে। আগে সাধারণত সরস্বতী পুজোর দিন পার হলেই পলাশের কদর ফরিয়ে যেত। ফুল দোকানে পলাশ ফুল রাখার চলও ছিল না।” আফসোসের সঙ্গেই জানান, ‘‘দু’ বছর কোভিডে ফুলের ব্যবসা মার খেয়েছে। তবে এবারে বিয়ে ও অন্যন্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বসন্ত উৎসব ঘিরে এই মাসে ব্যাপক বিকোচ্ছে ফুল।’’ বিধান মার্কেটের অপর ফুল বিক্রেতা সঞ্জয় সরকার বলেন, ‘‘পলাশের পাশাপাশি কাঁচা হলুদ বর্ণের গাঁদার চাহিদাও এই মাসে প্রচুর। অনেকেই অগ্রিম দিয়ে গিয়েছেন।’’ অন্যদিকে হাসিমুখ নিয়ে মরশুমি ব্যবসা করা অতনু বিশ্বাস আবিরের পসরা সাজিয়ে মহরাবীরস্থানে বসেছেন। তাঁর মত, মানুষ এখন সচেতন তাই ভেষজ আবিরের চাহিদা বেড়েছে। শিলিগুড়ি বাগডোগড়া ও ফুলবাড়ি আবির কারখানায় চলছে জোরকদমে শেষ মুহূর্তে প্যাকেজিং ও মাল সরবরাহের কাজ।