প্রতিবেদন : দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। রাজ্যে ডেঙ্গি প্রতিরোধ এবং দমনে প্রয়োজনীয় সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। জানিয়ে দিল রাজ্য। স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা এবং স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নবান্ন থেকে রবিবার ডেঙ্গি নিয়ে এক উচ্চপর্যয়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও স্বাস্থ্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে স্বাস্থ্য সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এখন প্রায় দেড় হাজার মানুষ ভর্তি আছেন। এরমধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় অন্যান্যবারের মতোই পরিস্থিতি। সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ভাবে প্রস্তুত আছে। হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত ও প্লেটলেট মজুত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করতে উদ্যোগী পর্ষদ, পরীক্ষাকেন্দ্র বাছাইয়ে একাধিক শর্তাবলি
স্বরাষ্ট্র সচিবের কথায়, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদের মতো কয়েকটি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওই সব জেলার জেলাশাসকদের বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওইসব জেলায় জেলাশাসকের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, দলের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন-ইডি সিবিআই এজেন্সি রাজনীতি, নিট ফল সেই মাইনাস টু
গতবারের থেকে এ-বছর ডেঙ্গি পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। ১৬০টি সরকারি হাসপাতাল এবং ৯৮টি পুরসভায় রক্তপরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৯ লক্ষ মানুষের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। যা গতবারের থেকে তিনগুণ বেশি। ২৪ ঘণ্টাই রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর ফলে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। তবে প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি এই রোগের মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকেও সচেতন ভাবে এগিয়ে আসার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব আহ্বান জানিয়েছেন। মশার বংশবিস্তার রুখতে আবর্জনা ও জল জমা আটকাতে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে বয়কট করতে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জ্বর আসার দু’দিনের মধ্যেই রক্ত পরীক্ষা করতেও সাধারণ মানুষকে আবেদন জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব।