প্রতিবেদন : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। করোনা মহামারির জন্য গত বছর উৎসবে মাততে পারেনি আপামর বাঙালি। এবার মহামারির প্রকোপ অনেকটাই কম। কিন্তু সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তাই গত, মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য প্রশাসন। কোভিড পরিস্থিতি কী কী নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে, বৈঠকে তা জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার আর্থিক অনুদান, বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের কথাও ঘোষণাও করা হয় রাজ্যের তরফে।
আরও পড়ুন : ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতান’ ভবানীপুরবাসীর কাছে আর্জি প্রবীণ বামনেতার
তারই মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার কলকাতার ভবানীপুরে উপনির্বাচন, মুর্শিদাবাদে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ওই এলাকাগুলোতে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রার্থী হওয়ার পরও কীভাবে এমন ঘোষণা করতে পেতেন, এতে ভোটে প্রভাব পড়বে, এই যুক্তি খাড়া করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কমিশনে চিঠি দিয়ে তারা জানিয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতার ২৫০০ ক্লাবকেই আর্থিক অনুদান ও বিদ্যুত বিলে ছাড় দিচ্ছে সরকার। কারণ, ভোটে সরকারের পক্ষে এই ক্লাবগুলি বড় ভূমিকা নিয়ে থাকে। এবার উপনির্বাচনে আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী। সেকারণে ভোটের মুখে ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় অনুদান নিয়ে বিজেপির অভিযোগকে তুলোধোনা ব্রাত্যর
বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট তলব করে কমিশন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক বা মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ক্লাবগুলিকে কেন আর্থিক অনুদান দেওয়া হল? তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবি চিঠিতে স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্র ভোট হচ্ছে। রাজ্যের সর্বত্র আদর্শ নির্বাচনী বিধি জারি নেই। ভবানীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও ক্লাবকে নিয়ম মেনে বৈঠক ডাকা হয়নি। আর্থিক অনুদান দেওয়া কথাও ঘোষণা করা হয়নি। সেকারণেই আদর্শ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে চিঠি লিখে এমনটাই স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা।