সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া : পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবার নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজোর ছুটি মিটতেই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পানীয় জলের গুণগত মান পরীক্ষা করতে শুরু হতে চলেছে রাজ্য সরকার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতেরর উদ্যোগে আশা কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই কাজ করবেন। বাড়ি- বাড়ি পরীক্ষার পাশাপাশি পাড়ার টাইমকল ও অগভীর নলকূপের জলের মানও পরীক্ষা করা হবে। ওইসব জল কতটা পানের যোগ্য তা পরীক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হবে। এই ব্যাপারে আশা কর্মীদের দিয়ে শীঘ্রই জলের মান পরীক্ষার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। এই কাজের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে আশা কর্মীদের ‘ফিল্ড টেস্টিং কিট’ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : পরিবারের সঙ্গে কোজাগরী লক্ষ্মী আরাধনায় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
এই কিট দিয়ে একজন আশা কর্মী ৫০টি কলের জলের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আশা কর্মীদের প্রতিটি পরীক্ষা পিছু ১০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। পুজোর ছুটির পরই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এর জন্য আশা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানেই তাঁদের কীভাবে এই কাজ করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এই কাজ শুরু করছি। প্রতিটি মানুষের কাছে আরও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই উদ্দেশ্যেই বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পানীয় জলের মান পরীক্ষার কাজ শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা করে সেখানেই সঙ্গে সঙ্গে ওই জলের মান কেমন তা জানিয়ে দেওয়া হবে। জলের মান খারাপ হলে সেক্ষেত্রে ঠিক করা হবে। এর ফলে আশা কর্মীদেরও কিছুটা অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা হবে।’ উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার নিরিখে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর— পরপর দু’মাস দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই সাফল্য ধরে রাখার পাশাপাশি রাজ্য সরকার এবার মানুষকে আরও বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে দুয়ারে পানীয় জল পরীক্ষাও শুরু করে দিচ্ছে।