পুলিশ ডেকে প্রাক্তন সাংসদ মুমূল রায়ের বাড়ি খালি করে দিল পুলিশ। রাজ্যসভার আরেক প্রাক্তন সাংসদ যোগেন চৌধুরীরকে জরিমানা করা হল ১৬ লক্ষ টাকা। প্রথমে দোলা সেন ও পরে সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যসভার সচিবালয়ে এই নিয়ে চিঠি দেন।
ওই বাংলো হাতে রাখতে ভাড়াও নিতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কাজ হয়নি। নোটিশ পাঠানোর হয়েছিল প্রথমে এরপর পুলিশ ডেকে খালি করে দেওয়া হল মুকুল রায়ের ফ্ল্যাট।
২০২০ সালের ২ এপ্রিল রাজ্যসভায় ৬ বছরের মেয়াদ শেষ হয় যোগেন চৌধুরীর। কিন্তু করোনা মহামারি, শারীরিক সমস্যা, কলকাতা-দিল্লি বিমান বন্ধ থাকায় তখন সশরীরে দিল্লি গিয়ে বাড়ি সারেন্ডার করা হয়নি । হাজার অনুরোধ করেও ছাড় পেলেন না তৃণমূলের চিত্রশিল্পী প্রাক্তন সাংসদ। আর মেয়াদ শেষের তিন মাস পর থেকেই তাঁর নামে থাকা সি-৭০২ স্বর্ণজয়ন্তী সদনের বাংলোর উপর চাপে ভাড়া, ৫৫ হাজার টাকা। এক মাস পর থেকেই চাপতে থাকে ড্যামেজ চার্জও। জমতে জমতে যার মোট অঙ্ক দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৮২৩ টাকা। রাজ্যসভার হাউস কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেও কাজ হয়নি বলে এই বিষয়ে জানিয়েছেন যোগেনবাবু। তিনি টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন।
অথচ, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁকে নামমাত্র ভাড়ায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে বাংলোতে। কোনও এক কারণে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদও এই নিয়ে ছাড় পাচ্ছেন। তাঁর মেয়াদ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাড়া দিয়ে থাকতে পারবেন ।
আর এখানেই মোদি সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন যে উঠবে সেটা খুব স্বাভাবিক। কেন্দ্রে বিরোধী হওয়ায় কিছু প্রাক্তন সংসদের বাংলা খালি করতে বলা হচ্ছে, আর তাদের ছত্রছায়ায় থাকারা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। কেন এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ?