বেঙ্গালুরু, ১১ মার্চ : এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের অবস্থান অনেকটা কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের মতো। শহরের ব্যস্ত জনপদ এম জি রোডের উপর হাজার চল্লিশেক লোকের এই মাঠ। যা শনিবার পুরো ভরে যাবে।
কোভিড পরিস্থিতি অনেক ভাল ও বিরাট কোহলির ১০১তম টেস্ট ম্যাচ দেখতে গার্ডেন সিটির তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান দিতে এই ম্যাচে একশো শতাংশ দর্শককে মাঠে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার কোষাধ্যক্ষ বিনয় মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন, টিকিটের যা চাহিদা তাতে দিন-রাতের এই টেস্টে মাঠের কোনও আসন খালি যাবে না।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে এক কথা, বাংলায় উল্টো
এর আগে যে দুটি গোলাপি বলের টেস্ট ভারতে হয়েছে, তাতে ভারত অনায়াসে জিতলেও রাতের দিকে শিশির বোলারদের সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু কলকাতা বা আমেদাবাদের মতো শিশিরের সমস্যা বেঙ্গালুরুতে হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যেহেতু এই শহর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট উঁচুতে। আবহাওয়ার জন্যই শিশিরের হাত থেকে বোলাররা মুক্তি পেতে পারেন।
তবে ভারতীয় দলের জন্য প্রথম এগারো নিয়ে ভাবনার ব্যাপার থাকছেই। মোহালিতে কিছু করতে না পারা অফস্পিনার জয়ন্ত যাদব সম্ভবত বসবেন। তাঁর জায়গায় হয় মহম্মদ সিরাজ, নাহলে অক্ষর প্যাটেল আসবেন। অক্ষর আমেদাবাদের দিন-রাতের ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে ভারত তিন স্পিনারের তত্ত্ব থেকে সরে এলে বুমরা ও শামির সঙ্গী হবেন সিরাজ। বিরাটের মতো তিনিও আরসিবিতে খেলেন। চিন্নাস্বামীর উইকেটকে হাতের তালুর মতো চেনেন।
আরও পড়ুন-লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়ল বরাদ্দ
এই নিয়ে চতুর্থবার গোলাপি টেস্টে নামছে ভারত। দেশের মাঠে এটা তৃতীয় ম্যাচ। এর আগে অ্যাডিলেডে প্রথম ইনিংসে ভারত ৩৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। তবে মোহালিতে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ২২২ রানে হারিয়ে আসা ভারতকে এসব নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে না। বিরাটের থেকে রোহিতের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন চলে এলেও ব্যাটে-বলে টিম ইন্ডিয়া তেল খাওয়া মেশিনের মতো চলছে।
ওপেনাররা ফর্মে। মিডল অর্ডার রানে। বোনাস হিসাবে আছে অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। মোহালিতে ১৭৫ নট আউট থাকার পর বল হাতেও নয় উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাশে অশ্বিনও রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন। ফলে সিমারদের খেলা দেখা ছাড়া বিশেষ কিছু করতে হয়নি।
আরও পড়ুন-রাজ্য দিয়েছে টাকার জোগান
গোলাপি বলে ভারতীয়দের মধ্যে একমাত্র সেঞ্চুরি আছে বিরাটের। আর সেটাই গত আড়াই বছরে তাঁর একমাত্র সেঞ্চুরি। বিরাট বলেছেন বেঙ্গালুরু তাঁর সেকেন্ড হোম। আইপিএলের দামামা বেজে ওঠার আগে তিনি চাইবেন সেঞ্চুরির খরা কাটিয়ে উঠতে। আর কিং কোহলির পাশে থাকতে চিন্নাস্বামী ভরিয়ে দেবেন বিরাট-ভক্তরা। সিংহলিদের জন্য অবশ্য চাপের কারণ আছে। পেসার কুমারাকে এখানে পাওয়া যাবে না। অনিশ্চিত ওপেনার নিশঙ্কও। প্রাক্তন অলরাউন্ডার রাসেল আর্নল্ড বলেছেন, এই দলের লড়াই করার মানসিকতাই নেই। করুনারত্নেরা কি আর্নল্ড-খোঁচায় এবার জেগে উঠবেন?