দিল্লিতে এক কথা, বাংলায় উল্টো

Must read

প্রতিবেদন : অন্ধ বিরোধিতা যে শুধুই অন্ধকার ডেকে আনে তা অন্তত জ্ঞানী-গুণীজনেরা অতীতে যাঁরা বিধানসভায় (Bidhan Sabha) বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছেন তাঁরা কমবেশি এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু শুক্রবার বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পড়তে শুরু করেছেন সবে ১৫ মিনিট হয়েছে, এর মধ্যেই প্লাকার্ড-পোস্টার নিয়ে হইচই শুরু করলেন বিরোধীরা। শেষে ওয়াক আউটও করলেন।

আরও পড়ুন – রাজ্য দিয়েছে টাকার জোগান

দিল্লিতে বিজেপি পরিষদীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার কথা বলে। আর সেই বিজেপির বাংলা ব্রিগেড বিধানসভায় তাণ্ডব চালায়। বিক্ষোভ দেখায় সংসদীয় রীতিনীতি না মেনে। বাজেটে কী আছে তা না জেনেই বাইরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে শুরু হল আস্ফালন। নেতৃত্বে শিশিরবাবুর ছেলেটা। যিনি কিনা নিজেও একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benarjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের একাধিক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benarjee) দয়াতেই এত বছর করে খেয়েছেন গোটা পরিবার সহ। এখন সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে বাঁচতে বিজেপির কোলে উঠে পড়েছেন। যিনি নিজের ভাল ছাড়া অন্য কিছু জানে না। যার শিষ্টাচার, মর্যাদা, বিরোধী দলনেতা হিসেবে গণতান্ত্রিক কৌলিন্য কিছুই নেই, তিনি করছেন বাজেট বিরোধিতা। তাও আবার ১৫ মিনিটের মাথায়। শিশিরবাবুর ছেলেটা এখন তৎকাল বিজেপির পোস্টার বয় হতে চাইছেন। পুরনো সবাইকে তাড়িয়ে দলে সংগঠনে নিজের লোক বসাতে চাইছেন।

এরকম সর্বগ্রাসী চরম লোভী একটা মানুষ চাইছেন রোজই কিছু না কিছু নাটক করে নিজে প্রচারের সব আলো কেড়ে নিতে। বাকি বিজেপি বিধায়করা আশপাশে থাকলেও মিডিয়ার বুম তাঁদের মুখের কাছে যাতে না পৌঁছতে পারে তার জন্য যা করার দরকার সবটা করছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজের নম্বর বাড়াতে সদা উদগ্রীব এরকম প্রচারলোলুপ নিকৃষ্ট ও নিম্নমানের বিরোধী দলনেতা এর আগে বিধানসভা দেখেনি। আসলে গঠনমূলক বিরোধিতা করতে গেলে সাবজেক্টের গভীরে যেতে হয়। রীতিমতো পড়াশুনো করতে হয়। এসবের ধারপাশ দিয়েও কোনওদিন যাননি শিশিরবাবুর ছেলেটা। এসব বোঝানোর মতোও কেউ বিজেপিতে নেই। আর বোঝালেও তিনি শুনবেন এ গ্যারান্টিও নেই। আর দেখে শেখার মতো শিক্ষাদীক্ষা, প্রতিভা বা ধৈর্য কোনওটাই শিশিরবাবুর ছেলেটার নেই। বিধানসভায় আজ পর্যন্ত দারুণ কোনও বক্তব্য রেখেছেন এ দাবি তাঁর গাড়ির চালকও করবেন না। আর সংগঠনে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার মতো করে পরিষদীয় দলেও নিজের পেটোয়া দু-একজন বিধায়ককে দিয়ে নজরদারি ও ছড়ি ঘোরাচ্ছেন সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা তথাকথিত বিরোধী দলনেতা।

Latest article