সংবাদদাতা, হাওড়া : হাওড়ার টোপিওয়ালা ঘাটে রেলের ঠিকা সংস্থার অত্যাধুনিক ধোপাখানা থেকে নির্গত নিকাশির জল সরাসারি গঙ্গায় গিয়ে মিশছে। এর ফলে গঙ্গার জল দূষিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই ধোপাখানায় রেলের দূরপাল্লার ট্রেনের এসি বগির সমস্ত চাদর ও বালিশের ঢাকা ধোয়া হয়। সেই জল যাতে সরাসরি গঙ্গায় না মিশতে পারে তার জন্য উদ্যোগী হয় হাওড়া পুরসভা।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার হল বিজেপির বুথ সভাপতি
ইতিমধ্যে ওই ধোপাখানা কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে পুরসভা। মুখ্যপুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, পুরসভা কোনওরকম বেআইনি কাজকে বরদাস্ত করবে না। আমরা ওই ধোপাখানার আধিকারিকদের সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে পুরসভায় ডেকে পাঠিয়েছি। তাঁদের কাছে কী কী বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তা দেখে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। কোনওভাবেই কারখানার নিকাশির জল গঙ্গায় মিশতে দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চাপ, পাল্টা শর্ত দিয়ে ‘কৌশল’ ইজরায়েলের
পাশাপাশি রেল কর্তৃপক্ষের কাছেও পুরো বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে। হাওড়ার শিবপুর ঘাট ও রামকৃষ্ণপুর ঘাটের মাঝে রয়েছে ওই টোপিওয়ালা ঘাট। ওই ঘাটে এলেই পাওয়া যাবে ঝাঁঝালো গন্ধ। গঙ্গার পাড়ের কাছে ভূগর্ভস্থ এলাকা থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। সেখানেই রয়েছে রেলের ঠিকাদার সংস্থার একটি ধোপাখানা। সেখান থেকেও রাসায়নিক মিশ্রিত জল বেরোচ্ছে। যা সরাসারি গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে। এর ফলে গঙ্গা দূষিত হয়ে পড়ছে। বিষয়টি চাক্ষুষ করেই এলাকার বাসিন্দারা পুরো বিষয়টি হাওড়া পুরসভার নজরে আনে। এরপরই তৎপর হয়ে ওঠে হাওড়া পুরসভা। অবিলম্বে এই ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পুরসভা।
আরও পড়ুন-শিলাবৃষ্টির জের, নাসিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ৩০%
মুখ্যপুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রেলের মতো একটি সংস্থার ঠিকদাররা কোন সাহসে দিনের পর দিন ধোপাখানার রাসায়নিক মিশ্রিত জল সরাসরি গঙ্গায় ফেলছে? রেল এতদিন কেন কোনও পদক্ষেপ নিল না? এই বিষয়ে রেলের উদাসীনতার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তাঁরা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি জানান, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।