সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : অবশেষে চার বছর পর ইলিশের রেকর্ড উৎপাদন বাংলায়। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টনের বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে। আগামী একমাস একইভাবে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মিলবে বলে আশা মৎস্যজীবীদের। পুবালি বাতাস আর ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির জেরে সমুদ্রে ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ ঢুকছে। ফলে জালে ধরা পড়ছে টন-টন রূপালি শস্য।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডের পাকুড় গণধর্ষিতা তরুণী
কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, সাগর, রায়দিঘি, ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যবন্দরগুলিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। দিনভর ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে ফিরছেন মৎস্যজীবীরা। সেই ইলিশ ঘাট থেকে চলে যাচ্ছে ডায়মন্ড হারবারের মাছের আড়তে। আড়তে নিলামের পর ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে। এবার ইলিশের সাইজও বেশ ভাল। সঙ্গে বৃষ্টির জলে মাছের স্বাদও বেড়েছে। দামও আগামী দিনে বেশ কিছুটা কমবে বলে মত আড়ত মালিক থেকে পাইকারদের। অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলেই দাম কমার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন-অধ্যবসায়ের জোরে ভিক্ষুক থেকে সফল মাছ-ব্যবসায়ী
গত তিনদিনে গড়ে এক হাজার টনের বেশি ইলিশ নিলাম হয়েছে মাছের আড়তে। গত ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইলিশ ধরার মরশুম। মরশুম শুরুর পর একমাস অতিক্রান্ত। এর মধ্যে প্রতিদিন ভাল ইলিশ পেয়েছেন মৎস্যজীবীরা। ২০১৮ সালে শেষবার ভাল ইলিশ মিলেছিল। তারপর থেকে টানা ইলিশের খরা চলছিল। অনেক ট্রলার মালিক লোকসানের বহর টানতে না পেরে এই ব্যবসা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেন। আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছিল মৎস্যজীবীদের। এ-রাজ্যের অনেক মৎস্যজীবী ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বনবিজ্ঞানী হয়ে নজির গড়লেন কৃষক কন্যা
কিন্তু এবার ছবিটার বদল হয়েছে। রেকর্ড ইলিশ ধরা পড়েছে। প্রতিটি ট্রলার মালিক লাভের মুখ দেখেছেন। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘কয়েক বছরের খরা কাটতে চলেছে। ইলিশের দেখা মিলেছে সমুদ্রে। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ পড়ছে মৎস্যজীবীদের জালে। আমরা আশাবাদী। আগামী একমাস একইভাবে ইলিশ মিলবে। সস্তায় ইলিশ পেতে চলেছে বাঙালি।’’