প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় মাসে পড়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। যত দিন যাচ্ছে রাশিয়ার তাণ্ডবলীলায় ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি তত বাড়ছে। গোটা আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশের কাছেই যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়েছে। এই অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করতে ফের আলোচনায় বসতে চলেছে কিয়েভ ও মস্কো। সোমবার থেকেই তুরস্কে এই দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। ৩০ মার্চ পর্যন্ত এই আলোচনা চলবে। তবে বৈঠক শুরু হলেও তা নিয়ে কোনও পক্ষই খুব একটা আশাবাদী নয়। কারণ এর আগেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেই আলোচনা নিষ্ফলা থেকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পথে তৃণমূল
সোমবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তাঁরা অবিলম্বে শান্তি আলোচনা শুরু করতে চান। কারণ তিনি চান, প্রতিটি মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করুক। একইসঙ্গে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসলে তবেই যুদ্ধের অবসান হতে পারে। এদিকে সোমবারও রাশিয়া-ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার এই হামলায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি আবাসন পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কাছ থেকে ইরপিন শহরটি পুনর্দখল করেছে।
আরও পড়ুন-ধর্মঘটে ৮ রাজ্যে, আংশিক সাড়া
অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। এদিন জার্মানি জানিয়েছে, রাশিয়ার দাবিমতো তারা গ্যাসের দাম রুবেলে মেটাবে না। অন্যদিকে রাশিয়া পাল্টা বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দেশ অমিত্রসুলভ আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে মস্কো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। একইসঙ্গে সার্বিয়া মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে রাজি না হওয়ায় তাদের প্রশংসা করেছেন পুতিন।