প্রতিবেদন : লগ্নি আকর্ষণে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে পুরুলিয়ায় প্রস্তাবিত শিল্পাঞ্চল জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী। রঘুনাথপুরের এই বিশাল প্রকল্পে লগ্নিকারীদের বিপুল সাড়া দেখে এর সাফল্যের ব্যাপারে রীতিমতো আশাবাদী রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের এক অনুষ্ঠানে জঙ্গলসুন্দরীর দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজ্যের দৃঢ় মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোটের জন্য নতুন ব্যালট বক্স কিনছে কমিশন
মনে করিয়ে দিলেন, জঙ্গলসুন্দরীর পথ ধরেই তরান্বিত হবে জঙ্গলমহলের প্রগতি। সমৃদ্ধ হবে রাজ্যের অর্থনীতি। আড়াই হাজার একর জমিতে এই জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে ৩টি ফ্রেট করিডর কীভাবে শিল্পায়নের পথকে প্রসারিত করছে তাও ব্যাখ্যা করেন ডাঃ শশী পাঁজা। তিনি জানিয়েছেন, ৩টি ফ্রেট করিডর বা পণ্য পরিবহণ সড়ক লাগোয়া ৮ জেলায় শিল্পতালুক গড়ার জন্য সরকারি জমি চিহ্নিতের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। লক্ষণীয়, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম এবং তাজপুর-রঘুনাথপুর ফ্রেট করিডর লাগোয়া এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এই জেলাগুলিতেই অত্যাধুনিক শিল্পতালুক গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি কেন্দ্রে নির্বাচন
শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন, এইসব শিল্পতালুকে ভারী শিল্প ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও আকর্ষণীয় লগ্নিপ্রস্তাব আসছে। বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন শিল্পোদ্যোগীরা। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণকুমার গারোডিয়ার হিসেব অনুযায়ী, হাওড়া-সহ পূর্বাঞ্চলের ৭৫টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে রফতানি তালুক তৈরির জন্য। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা অবশ্য জানিয়েছেন, এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে আরও কিছু জেলা।