প্রতিবেদন : দেওচা-পাঁচামিতে এশিয়ার বৃহত্তম খনি প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ হল আরও মানবিক আরও আকর্ষণীয়। জমিদাতাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের দিকে তাকিয়ে সেই প্যাকেজে আরও ২টি বিষয় যুক্ত করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী মাস থেকেই আড়াইশো চাকরিপ্রার্থী পাবেন আর্থিক সুবিধা। নবান্ন থেকে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে দেওয়া হবে প্রায় ১০ হাজার টাকা অনুদান। শুধু তাই নয়, চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই ঘোষণা মহম্মদবাজারের প্রকল্পটির জন্য।
আরও পড়ুন-বোনাস ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও
জানা গিয়েছে, জমি দেওয়ার বদলে যাঁরা চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন তাদের বয়স ১৮ বছর না হলে ১৭ বছর বয়স থেকে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যাদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরির সমস্ত শর্ত পূরণ হচ্ছে না তাঁদের নিয়োগ করা হবে চতুর্থ শ্রেণির করণিক পদে।
আরও পড়ুন-আদিবাসী মণ্ডপে শ্রীকৃষ্ণের লীলা
উল্লেখ্য, কয়ালখনি প্রকল্পের শুরুতেই ৪০০ জনকে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র কনস্টেবলের নিয়োগপত্র। এর মধ্যে ৩৫৪ জন প্রশিক্ষণরত। যাদের জুনিয়র কনস্টেবল পদে যোগ দেওয়ার মত শারীরিক সক্ষমতা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই তাঁরা পাবেন চতুর্থ শ্রেণির করণিকের চাকরি। আবার যাদের এই সমস্ত যোগ্যতা আছে কিন্তু ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাঁরা ১৭ বছর বয়স থেকে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত পাবেন মাসিক ১০ হাজার টাকা করে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জমি দেওয়ার শর্ত পূরণ করে চাকরির জন্য নাম পাঠানো হয়েছে ৯টি পর্যায়ে। ৮ নম্বর তালিকা পর্যন্ত হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন ২২০ জন। এঁদের মধ্যে অনেকেই আর্থিক সাহায্য পাবেন।