হায়দরাবাদ, ২৭ মার্চ : হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে টানা দ্বিতীয় হারের মুখ দেখল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে বুধবার অবিশ্বাস্য এক মাচের সাক্ষী রইলেন হায়দরাবাদের দর্শকরা। ২২ গজে রানের ফোয়ারা ছোটালেন দু’দলের ব্যাটাররা। তৈরি হল একাধিক রেকর্ডও। শেষ পর্যন্ত রানের উৎসবে বাজিমাত করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩১ রানে মুম্বইকে হারিয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম জয়ের মুখ দেখলেন প্যাট কামিন্সরা।
ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন হেনরিখ ক্লাসেন, ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। নিট ফল, আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইনিংসের নতুন রেকর্ড গড়ল হায়দরাবাদ। ২০১৩ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে নতুন রেকর্ড গড়ল হায়দরাবাদ। রান তাড়া করতে নেমে লড়াই করল মুম্বইও। স্কোরবোর্ডে ২৪৬ রান তুললেন হার্দিকরা। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ৫২৩ রান উঠল। আইপিএল তো বটেই, এই প্রথমবার কোনও টি-২০ ম্যাচে পাঁচশো বা তার বেশি রান উঠল।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফের দিলীপের কু-কথা, শোকজ করল কমিশন, প্রার্থিপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের
মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১১) রান পাননি। তবে হেড ও অভিষেকের যুগলবন্দিতে ঝড়ের গতিতে রান তুলেছে হায়দরাবাদ। ১৮ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন হেড। হেডের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে স্কোরবোর্ডে ৮১ রান তুলে ফেলেছিল হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৬২ রান করে জেরাল্ড কোয়েটজির শিকার হন হেড। তাঁর ঝোড়ো ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয় দিয়ে।
তবে তাতেও হায়দরাবাদের রান তোলার গতি কমেনি। ১৬ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন অভিষেক। যা চলতি আইপিএলের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির নজির। তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান পীযূয চাওলা। ততক্ষণে অবশ্য ২৩ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছয় মেরে ৬৩ করে ফেলেছিলেন অভিষেক। বাকি কাজটা সারেন ক্লাসেন ও এইডেন মার্করাম। ক্লাসেন মাত্র ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছয় মেরে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। মার্করামের অবদান ২৮ বলে অপরাজিত ৪২। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেছেন মুম্বইয়ের ব্যাটাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দুশোতম ম্যাচ খেলতে নামা রোহিত শর্মা আউট হন ১২ বলে ২৬ করে। ঈশান কিশানের অবদান ১৩ বলে ৩৪। ৩৪ বলে ৬৪ করেন তিলক ভার্মা। শেষ দিকে ২২ বলে ৪২ করে নট আউট থাকেন টিম ডেভিড। হার্দিকের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ২৪। তবে তাতে শুধু হারের ব্যবধান কমেছে। ম্যাচের সেরা হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা।