প্রতিবেদন : জীবনের লক্ষ্য স্থির করো, তাহলেই তোমরা ঠিক শীর্ষে পৌঁছে যাবে। বাবা-মায়ের গর্ব হয়ে উঠবে। তোমাদের বাবা-মা প্রত্যেকে তোমাদের নিয়ে গর্বিত হবে। শনিবার পশ্চিমবঙ্গীয় মারোয়াড়ি সম্মেলন শিক্ষা কোষের ৩৪তম উপবৃত্তি উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে এসে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
শিক্ষার এই আনন্দময় উদযাপনে পশ্চিমবঙ্গীয় মারোয়াড়ি সম্মেলন শিক্ষা কোষের অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, আমিও একজন পিতা। আমার সন্তানের কাছে আমি একজন মেয়র বা মন্ত্রী হিসেবে নই, গর্বিত হই পিতা হিসেবে। তার গর্বে নিজেকে গর্বিত মনে করি। প্রত্যেক পিতা-মাতাই চান, তাঁর সন্তান সমাজের কিছু একটা হোন। তাঁর পরিচয়েই যেন বাবা-মা হিসেবে নিজেদের গর্বিত বোধ করতে পারেন। আপনি কত ধনদৌলত করলেন তা কেউ জিজ্ঞাসা করেন না, কারও সঙ্গে দেখা হলে তারা জিজ্ঞাসা করে তোমার ছেলে-মেয়েরা কী করছে। অতএব সন্তানকে এমনভাবে মানুষ করতে হবে, আপনি যেন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গর্ব করে বলতে পারেন। তিনি এই মর্মে এ পি জে আবদুল কালামের একটি বাণীও তুলে ধরেন। বলেন, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে স্বপ্ন দেখতে হবে, যে স্বপ্ন ঘুমিয়ে দেখে না, যে স্বপ্ন ঘুম কেড়ে নেয়। সেই স্বপ্ন দেখতে পারলে সবাই সমাজের একজন হয়ে উঠবে। একজন ভাল খেলোয়াড়, ভাল রাজনীতিবিদ বা ভাল বিজ্ঞানী হতে গেলে সেই স্বপ্ন দেখতে হবে, লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হবে, পুঁজি থাকলেই দুনিয়া হাতের মুঠোয়— এই মানসিকতা দূর করতে হবে, তাহলেই হবে স্বপ্নপূরণ।
এদিনের অনুষ্ঠানে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো তাহলেই তোমরা শুধু বাংলার নয়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। প্রত্যেকের মধ্যেই প্রতিভা রয়েছে। আর এই মারোয়াড়ি সম্মেলন শিক্ষা কোষ তাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করছে। অনুষ্ঠানে ৫৫টি স্কুলের ৩৬০ জন ছাত্র এবং ৩১০ জন ছাত্রী অর্থাৎ মোট ৬৭০ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। ভারত সেবাশ্রম সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ-সহ বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- অভিযুক্ত সেই ৬ ছাত্রের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা যাদবপুুর বিশ্ববিদ্যালয়ে