নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রণাম করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আশীর্বাদের হাত বর্ষীয়সী জয়া বচ্চনের। অভিষেক বললেন, সেদিন মুম্বইয়ে অনেক রাত করে পৌঁছে ছিলাম। তাই জলসায় যাওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। আমি দুঃখিত। পাল্টা জয়া বললেন, আমি বুঝতে পেরেছি। মঙ্গলবার সংসদভবনে (এখন পুরনো) তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে হঠাৎই আসেন জয়া বচ্চন। এখন তিনি সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। দীর্ঘক্ষণ গল্প হল। রাজনীতি থেকে বাংলা। কোনও কিছুই বাদ রইল না।
আরও পড়ুন-পাল্টা জবাব, এবার কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের
এর মাঝেই জয়া কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে বললেন, আপনার মণিপুর নিয়ে বক্তৃতার রেকর্ডিংটা যদি একটু দেন। কেন? বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাকলি সেদিন অমিতাভ বচ্চনের বাবা হরিবংশরাই বচ্চনের অগ্নিপথ কবিতার কিছু অংশ আবৃত্তি করেছিলেন। সেই স্মৃতিটাই অ্যালবামে রেখে দিতে চাইছেন জয়া। কাকলি দিলেন। কুশল বিনিময় হল শতাব্দী রায়, দোলা সেন-সহ অন্যদের সঙ্গেও। আলোচনা হল মহিলা বিল নিয়েও।
আরও পড়ুন-মাধ্যাকর্ষণের মায়া কাটাল ‘আদিত্য’
জয়ার বক্তব্য, এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না হাতে বিলটি পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রের আনা এই বিল আসলে বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হাঁটা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত থেকে আরম্ভ করে লোকসভা নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীদের সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়েছেন। এই মুহূর্তে সংসদেও ৪২ শতাংশ মহিলা সাংসদ রয়েছেন তৃণমূলের। ফলে তৃণমূলনেত্রী যে পথ দেখিয়েছিলেন সেই পথেই বিজেপি হাঁটতে বাধ্য হল। এদিন নতুন সংসদভবনে অধিবেশন বসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সংসদীয় দল সেখানে যায়।