প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে নতুন সরকার গঠনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আয়কর দফতরের চিঠি পেলেন প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে নির্বাচনের সময় তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতে গরমিল রয়েছে।
আরও পড়ুন-বিজেপিকে তুলোধোনা উদ্ধবের, বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে শিবসেনার কেউ নন
২০০৪ সালের হলফনামায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে পাওয়ারকে তলব করা হল ১৮ বছর পর। যা শুনে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে পাওয়ার এই নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি আয়কর দফতরের কাছ থেকে একটি প্রেমপত্র পেয়েছেন। তীব্র কটাক্ষ করে পাওয়ার বলেন, আয়কর দফতর আজকাল খুব সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ভীষণ তাড়াতাড়ি সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে। পাল্টেছে নিজের কাজের কৌশল। উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ২৪ ঘণ্টা আগে মহারাষ্ট্রে সরকার পতনের পিছনেও সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-প্লাস্টিকমুক্ত অভিযান
ইতিমধ্যেই ১০৩৪ কোটি টাকার একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলায় শুক্রবার ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। রাউতকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। জমি দুর্নীতির এই মামলায় এর আগেও একদফা রাউত এবং তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এমনকী, তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির দফতরে ঢোকার মুখে রাউত অবশ্য বলেন, তিনি কাউকে ভয় পান না। কারণ তিনি জীবনে কখনও কোনও অন্যায় করেননি। তিনি আশা করছেন, ইডি একটি নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।