মঙ্গলবার আদালতে আমিন পুনাওয়ালার সাফাই, রাগের মাথায় সে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে। অপরাধ অনেকদিন আগে হওয়ায় পুরো ঘটনা মনে করতে পারছে না। যদিও আফতাব কতটা সত্যি বলছে তা জানতে পলিগ্রাফ টেস্ট করার কথা বলেছে পুলিশ।এদিকে অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করলেও খুনের হাতিয়ার, দেহাংশ (Shraddha Walker Case) ও ফোন এখনও পুরোপুরি খুঁজে পায়নি পুলিশ। সেগুলির হদিশ পেতে তল্লাশি চলছে।
শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar Case) শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। এই ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। যত সময় যাচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে। শ্রদ্ধার পরিচিত এক সমাজকর্মীর দাবি, শ্রদ্ধাকে আমিষ খেতে জোর করত আফতাব। এবং না খেতে চাইলে মারধরও করত।তারপরও আফতাবকে ছেড়ে যাননি শ্রদ্ধা। কিন্তু কেন খুন হতে হল শ্রদ্ধাকে ?
আরও পড়ুন: কলকাতায় পৌঁছলেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বুধেই শপথ
উল্লেখ্য, আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে আসেন শ্রদ্ধা। তবু তাকে খুন হতে হয়েছে। শ্রদ্ধার ‘অপরাধ’ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ এই ঘটনায় প্রেমিক আফতাবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুন করার পর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল সে।তারপর ১৮ দিন ধরে মৃত প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল প্রেমিক আফতাব।
মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেখানে সে অপরাধের কথা কবুল করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়াল আদালত। তদন্তে নেমে আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ভারী ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সামনে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে কাকভোরে নিজের বাড়ির বাইরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে আফতাবকে। তার সঙ্গে দুটি ব্যাগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যাগের মধ্যেই তার প্রেমিকার দেহাংশ লুকানো ছিল।