দার্জিলিং হাসছে। পাহাড়ের ঢল নেমেছে পাহাড়ে। কিন্তু যতবার পাহাড় হাসে, ততবারই বাইরে থেকে গোলমাল করা হয়। দার্জিলিং ম্যালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এইভাবেই বিজেপি (BJP) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, দার্জিলিঙে (Darjeeling) ২০বছর জমির পাট্টা দেওয়া হয়নি। এবার সবাইকে সকলকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। দার্জিলিঙে হিল ইউনিভার্সিটি তৈরির কথাও ঘোষণা করেন মমতা।
এদিন, কেন্দ্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন মমতা। তিনি বলেন, দিল্লিতে একটা সরকার এসেছে তারা শুধু তেলের দাম গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। প্রতিদিন পেট্রোল-ডিজেল দাম বাড়ছে, বিজেপি মানুষের কথা ভাবে না। “ইউপি-তে জেতার পর পাঁচবার তেলের দাম বাড়িয়েছে। মানুষ কী খাবে! বিজেপি খাবে?”
পাহাড়ে অশান্তির জন্য নাম না করে বিজেপিকে দায়ী করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, যতবার পাহাড় হেসেছে, ততবারই বাইরে থেকে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। “আমি চাই পাহাড়ের মানুষ হাসুক। কোনও দল এখানকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়ে যায়। কিন্তু তারপর খোঁজে পাওয়া যায় না। তাই দিল্লির লাড্ডু নয়। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিকের লাড্ডু চাই।” তোপ দেগে মমতা বলেন, “মানুষের মন ভোলাতে এসব থেকে চোখ সরাতে নিজেরাই আগুন লাগায় নিজেরাই থামায়৷ এরা সব ভোটের আগে জেগে ওঠে।“ পাহাড়ে শিল্প হোক, পর্যটনে আরও উন্নতি হোক চান মুখ্যমন্ত্রী। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। আগে মানুষের কাজ হবে বলে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া ডাক দেন তিনি।
আরও পড়ুন – পেট্রোপণ্যের ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজ্য সরকারের জনমুখী কাজগুলি তুলে ধরেন মমতা। জানান, ২১ লাখ বিধবাকে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। এই দফায় ৮ লাখ দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি ৫৩ লাখকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে আরও দেওয়া হবে। কৃষকদেরও ভাতা দেওয়া হয় বছরে ১০ হাজার টাকা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়েছে। চা শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা সবই পালন করছেন তিনি।
পাহাড়ে হিল ইউনিভার্সিটি হচ্ছে। কার্শিয়াং-এ প্রেসিডেন্সির ক্যম্পাস হচ্ছে। জিটিএ নির্বাচন দ্রুত হবে বলে এদিন ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী।
“রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য প্রচুর ডাক্তারি পড়ুয়া ফিরে এসেছে। বলেছিলাম এখানে ওদের ফ্রিতে পড়াব। অনুমতি দিন। গতকাল পার্লামেন্টে বলেছে অনুমতি দেব না। কোনো দরদ নেই পড়ুয়াদের জন্য।“ জানান ক্ষুব্ধ মমতা। সব শেষে একথায় পাহাড়ের মন জিতে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, “আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। সব সময় পাশে থাকব” রাজ্য সরকারের জন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং পাহাড়ের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ দার্জিলিংবাসী।