সংবাদদাতা, কাটোয়া : কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিমা তৈরির উপকরণ সুতলি, দড়ি, পেরেক, রং-সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের উপর জিএসটি চালু করেছে। ফলে মৃৎশিল্পীদের লাভের গুড়ে থাবা বসাচ্ছে জিএসটি। প্রতিমা বানানোর জন্য দরকারি খড়-মাটিরও দর বেড়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ধানের ফলন ভাল না হওয়ায় ভাল মানের খড় মিলছে না। ভাল মানের মাটি পাওয়াও সমস্যা। কারণ জমির ফলন বাড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই মাটি দিয়ে প্রতিমার একমাটি করা গেলেও দোমাটি করা যাচ্ছে না। প্রতিমার গা ফেটে যাচ্ছে। ওই মাটি মাখতে গিয়ে হাতে সংক্রমণজনিত রোগ হচ্ছে শ্রমিকদের। ফলে শ্রমিকরা হাঁকছেন বাড়তি মজুরি।
আরও পড়ুন-প্যারা ব্যাডমিন্টনে রাজ্যে সেরা পার্থ
সবমিলিয়ে প্রতিমা তৈরির খরচ অন্যবারের তুলনায় প্রচুর বেড়েছে। মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য, ‘উদ্যোক্তারা আলো, মণ্ডপ, বাজনার বাজেট বাড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রতিমার বাজেট বাড়ালেই হাঁ হাঁ করে উঠছেন। অথচ প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়ে গিয়েছে। ফলে লাভ দূরে থাক, খরচটাই উঠছে না।’ করোনার কারণে দু’বছর দুর্গোৎসব হয় নমো নমো করে। খেদ মেটাতে এবার জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। মুখ্যমন্ত্রী পুজো অনুদানের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন। বিদ্যুতের বিলেও ছাড় বাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির বাংলা ভাগের চক্রান্ত রুখতে ঢল তৃণমূলের মিছিলে
কাটোয়ার মৃৎশিল্পী সমর পাল, নানুচরণ পালরা বলছিলেন, ‘এবার প্রতিমার চাহিদা আছে। কিন্তু দাম বাড়াতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা। এদিকে প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রে জিএসটি বসায় খরচ প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।’ এক ভ্যান মাটি ৭০০/৮০০ টাকায় কিনে তাকে প্রতিমা তৈরির উপযোগী করতে খরচ পড়ে যাচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা। মৃৎশিল্পীদের যুক্তি, রাজ্য সরকার পুজো অনুদান বাড়িয়েছে, উদ্যোক্তাদের প্রতিমার বাজেট বাড়ানো উচিত। উল্টে কমাতে চাইছেন। গোদের উপর বিষফোড়া প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামে জিএসটির কোপ।