মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং-এর পক্ষে ফের একবার সওয়াল করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যদি ভোটে স্টেট ফান্ডিং সম্ভব হয় তবে এদেশে নয় কেন ? তাহলে মানুষের থেকে ভোটের জন্য টাকা নিতে হবে না।’ এক যুগান্তকারী রায়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে। বলা হয় এই ধরনের বন্ড নেওয়া আসলে দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়া। তার বদলে প্রার্থীর খরচ-খরচা ও অন্যান্য প্রচার সংক্রান্ত ব্যয় যদি সরকার বহন করে তাহলে স্বচ্ছতা বেশি থাকবে। একে স্টেট ফান্ডিং বলা হয়। সেই স্টেট ফান্ডিং চালু করার জন্য মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির গদ্দার, তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর
এদিন তিনি অভিযোগ করেন ইডি এবং সিবিআই দলের নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের থেকে টাকা নিচ্ছে। সেই টাকা নির্বাচনে খাটছে। এদিন তিনি বলেন, ‘এটা আরেকটা খেলা। এটা কি? গ্রেফতারের পর সিজার লিস্ট দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী বছরের পর বছর জেলে থাকলেও তার কি অপরাধ তিনি জানতে পারছেন না। বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
আরও পড়ুন-ভোটের আগেই বিরূপ মন্তব্য অনন্ত মহারাজের
কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করে ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ট্রেন দিচ্ছে না বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন। তিনি বলেন, ‘তাহলে উত্তরবঙ্গ থেকে লোক কিভাবে আসবে ? বিজেপি কি ভয় পেয়েছে? যাতে উত্তরবঙ্গ থেকে লোক না আসে সেই ব্যবস্থাই করছে তারা। জরুরি পরিষেবা আইনকে অস্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসাররা খড়্গপুরের রেল কলোনিতে জোর করে জলের লাইন বিদ্যুতের লাইন কেটে দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নানা বেআইনি কাজ করাচ্ছে।’ কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাঙালি অতিথিপরায়ণ। ওরা আসুক। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেন অত্যাচার না করেন।’