প্রতিবেদন : প্রস্তাবিত শিল্প এবং আর্থিক করিডর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। এই করিডরে যে সব জমিকে শিল্পের উপযোগী করে তোলা যাবে না, সেগুলিকে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী শিল্প দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে ভূমি ও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ছোটো উদ্যোগ শিল্প দফতরের সচিব। নবান্ন সূত্রে খবর রঘুনাথপুর-ডানকুনি, ডানকুনি-তাজপুর এবং ডানকুনি-কল্যাণী ।
আরও পড়ুন-ডিএসপিতে শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় তৃণমূল
এই তিনটি করিডরে তিন ধরনের জমি রয়েছে। বড় বড় জমিগুলিতে যেসব বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সরকারি সংস্থার জমি রয়েছে সেগুলিকে শিল্পের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। ছোট ছোট জমিগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করা হবে। বিশেষ করে যে-সব জমির সঙ্গে সড়কও রেল যোগাযোগ রয়েছে, অথচ বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, পানীয় জলের বাব্যস্থা নেই, সেই জমিগুলিকে ছোট ছোট শিল্প তালুক গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। শিল্প করিডরে যেসব জমি রয়েছে সেসব জমিকে নিয়ে মানচিত্র তৈরি করা হবে। এই মানচিত্র ভিত্তি করেই একটি পোর্টাল গড়ে তোলা হবে। যে শিল্প গড়তে যারা আগ্রহী হবেন তারা এই পোর্টালে গিয়ে নিজেদের পছন্দমতো জমি চিহ্নিত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন-ভাঙনে বিধ্বস্ত দল, বিধানসভায় ছন্নছাড়া চেহারা বিজেপির
পাশাপাশি যেসব জমি শিল্পের কারণে বিভিন্ন সংস্থাকে সরকার দিয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা ব্যবহার করা হয়নি, সেই সব সংস্থাকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফের নোটিশ পাঠাবে ভূমি দফতর। নোটিশে পরিষ্কার বলে দেওয়া হবে, পড়ে থাকা জমিতে হয় শিল্প করুন নইলে তা সরকার ফিরিয়ে নেবে। এদিনের বৈঠকে তিনটে শিল্প এবং আর্থিক করিডর কীভাবে গড়ে উঠবে এবং যেসব জমিতে শিল্পের জন্য উপযোগী নয় সেগুলোকে নিয়ে কী করা হবে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন মুখ্য সচিব। এই আলোচনাতেই উঠে আসে হয় শিল্প হবে নইলে কৃষি জমি হিসেবে রূপান্তরিত করে গরিব মানুষদের ওই জমি চাষ করার জন্য পাট্টা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প নিশ্চিত করার পর সরকার শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টিতে মনোযোগ দেবে ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুরে, কল্যাণীতে বেশ কিছু শিল্প তালুক তৈরি হয়েছে।