প্রতিবেদন : বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে জটিলতার অবসান হল। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যের ৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে মিলল সমাধানসূত্র। ৩ মাস মেয়াদ বাড়ল উপাচার্যদের। সফল বৈঠকের শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সাংবাদিকদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল সবার। যদি সংঘাত থেকে থাকে তা এখন অতীত পর্ব। এটা নতুন যুগ। রাজ্যপাল দ্বিধাহীনভাবে বললেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ
পাশাপাশি সমস্যার সমাধানে মূল ভূমিকা যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ তা বুঝিয়ে দেন ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসু আবারও স্পষ্ট করে দেন রাজ্যের অবস্থান, শিক্ষার উন্নয়নে একসূত্রে কাজ করবে রাজভবন-নবান্ন। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্তব্য করেছেন, সংবিধান মেনেই রাজ্যপালের কাজ করার কথা। আমাদের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধের কোনও জায়গা নেই। রাজ্যপালের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধই নেই। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আইন মেনেই এদিন বৈঠকে উপস্থিত উপাচার্যরা ইস্তফাপত্র তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। এরপর আবার ৩ মাসের জন্য তাঁদের নিয়োগপত্র দেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেটে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনও। সার্চ কমিটি নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে। তাঁর পরামর্শ মেনেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-২২ গজকে মিস করছেন ঋষভ
সোমবারই একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছিল আচার্য রাজ্যপাল এবং শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে। মঙ্গলবার আবার উপাচার্যদের নিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩ মাস। একজনের মেয়াদ মার্চ অবধি বলে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামীতে একই পথে হাঁটবেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হবে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া।