প্রতিবেদন : পার্ক স্ট্রিট ও অ্যাক্রোপলিস মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই শহরের রুফটপ রেস্তোরাঁ, ক্যাফে কিংবা হুক্কা বার নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। তাই শহরে এধরনের কতগুলো ক্যাফে-রেস্তোরাঁ আছে, তা নিয়ে বিশেষ সমীক্ষা চালাবে পুর-কর্তৃপক্ষ। সাতদিনের মধ্যে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বহুতলের ছাদে বেআইনিভাবে রেস্তোরাঁ কিংবা ক্যাফে গড়ে উঠলে দ্রুত তা ভেঙে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানাগরিক। তিনি জানিয়েছেন, শহরে প্রপার্টির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ছাদ বিক্রির একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। আর সেই ছাদ ঘিরে তৈরি হচ্ছে ক্যাফে-বার। হাইকোর্টই তার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বেআইনিভাবে গোটা ছাদ ঘিরে গড়ে তোলা সেই ক্যাফে-রেস্তোরাঁয় স্টোভ কিংবা হিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। শহরে এরকম কত রুফটপ ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও হুক্কা বার রয়েছে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা করে অবিলম্বে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুরসভার বারবার বারণ সত্ত্বেও গত কয়েকবছরে শহরে দেদার বিকোচ্ছে বহুতলের ‘কমন স্পেস’ ছাদ। আর অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে প্রচুর আয়ের লোভে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে রুফটপ ক্যাফে-রেস্তোরাঁ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যার কোনও সঠিক তথ্য পুরসভার কাছে থাকছে না। বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের সময় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে কিংবা আগুন নেভাতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দমকল। এই নিয়ে শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ছাদ হল কমন স্পেস। অগ্নিকাণ্ড-সহ কোনও দুর্ঘটনার থেকে হাত থেকে রেহাই পেতে সেই ছাদ সবসময় খোলা রাখতে হয়। কিন্তু এখন বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ছাদ বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে। তাই এবার ছাদের উপর গজিয়ে ওঠা ক্যাফে-রেস্তোরাঁয় নজরদারি চালাবে পুর-কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অনুমতি ছাড়াই যেসব ক্যাফে-রেস্তোরাঁ রমরমিয়ে চলছে, তা দ্রুত ভেঙে ফেলার বন্দোবস্ত করবে পুরসভা।