সংবাদদাতা, শান্তিপুর : স্বাস্থ্যবিধি মেনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রবিবার শান্তিপুরে শেষ হয় ভাঙা রাসের বিসর্জন পর্ব। ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে নেমেছিলেন। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে শোভাযাত্রা হয়নি, শুধু নগর পরিক্রমা হয়।
আরও পড়ুন-বিধায়কের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জল
১২টি বাড়ির বিগ্রহকে নগর পরিক্রমা এবং ৩৪টি বারোয়ারিকে বিসর্জনে যাওয়ার অনুমতি দেয় প্রশাসন। নগর পরিক্রমার পর বিগ্রহগুলি বাড়ি ফিরে আসে। বারোয়ারিগুলো নির্দিষ্ট পথে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। ১২টি ড্রপ গেট ছিল নিয়ন্ত্রণের জন্য। পুরসভার পক্ষে ছিল স্বাস্থ্যশিবির ও জরুরি পরিষেবার ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বদলে লোনের গতি বৃদ্ধি
শান্তিপুর বিগ্রহ বাড়ি সমন্বয় সমিতির সম্পাদক শশাঙ্ক চক্রবর্তী জানান, সরকারি বিধি মেনে বিসর্জন পর্বে অংশগ্রহণ করেছি। বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির সদস্য বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, সরকারি সব নিয়ম মেনে আমরা রাস অনুষ্ঠান করেছি। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপুরে উল্লেখযোগ্য বৈষ্ণবীয় রাস অনুষ্ঠিত হয় বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির রাসমঞ্চ ও মদনগোপাল বাড়ির রাসে। আলোয় সাজে রাধাবল্লভ মন্দির। একাধিক বারোয়ারি এবং বিগ্রহ-বাড়িগুলির আলোকসজ্জাও ছিল দেখার মতো। গোকুলচন্দ্র বাড়ির রাসমঞ্চও ছিল চমকদার।