প্রতিবেদন : ভবিষ্যতে তদন্ত হলে দুর্নীতির দায়ে গারদে যেতে হবে ইমরান খানকে। পদত্যাগী পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একযোগে এই অভিযোগ শানাচ্ছেন সেদেশের বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্নীতির পাহাড়ে বসে রয়েছেন ইমরান খান। এবার সেই দাবিই বাস্তবের জমি পেল। জানা গিয়েছে, ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারহা খান পাকিস্তান ছেড়ে বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গী কমপক্ষে ৯০ হাজার মার্কিন ডলার দামের একটি ব্যাগ। এই ফারহা খানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ডলারেরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পাকিস্তানে রাজনৈতিক সঙ্কটের জেরে ইমরান-ঘনিষ্ঠ দুর্নীতিগ্রস্তরা একে একে দেশে ছাড়ছেন। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল একটি ছবিই প্রমাণ হিসেবে পেশ করছেন বিরোধীরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্লেনের বিজনেস ক্লাসে বসে আছেন ফারহা। তাঁর পায়ের কাছে ব্যাগটির দামই প্রায় লাখখানেক ডলার। ফারহার স্বামী আহসান জামিল গুজ্জরও আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন। বিরোধীরা বলছেন, এসব হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তদন্ত হলে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হবে। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর নেতা, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইলের অভিযোগ, পাঞ্জাব প্রদেশে শিকড় গেড়েছিলেন ইমরান পরিবারের ঘনিষ্ঠ ফারহা। শাসক দল বা সরকারের কোনও পদে না থেকেও তিনি সরকারি অফিসারদের বদলির বিনিময়ে বিপুল অর্থ ঘুষ নিতেন। দুর্নীতির দায় এড়িয়ে ডামাডোলের বাজারে ৩ এপ্রিল তিনি পালিয়ে গিয়েছেন দুবাইয়ে। ঘটনাচক্রে ওইদিনই ইমরান খান জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা আলিম খানেরও অভিযোগ, ফারহা খান দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন। কার হয়ে তিনি দুর্নীতি করতেন, সকলেই জানে। ইমরান (Imram Khan) –পত্নী বুশরা বিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে পাক প্রশাসনে তাঁর বিরাট প্রভাব ছিল। বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতির প্রকৃত সুবিধাভোগী ইমরান (Imram Khan)। তিনিই নাটের গুরু।