প্রতিবেদন : এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন সরাসরি অর্থ দফতর থেকে দেওয়া হবে। আজ রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে অর্থ দফতরের তরফে একথা জানানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে আজ ওই সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মালদহ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসাররা।
আরও পড়ুন-বচসা থেকে কসবায় চলল গুলি, ধৃত এক
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন প্রক্রিয়া-সহ নানা আর্থিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে এতদিন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর অধ্যাপকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাত। সেখান থেকে উপাচার্যরা বেতন বন্টন করতেন। কিন্তু এইচআরএমএস এর মাধ্যমে নয়া বেতন প্রক্রিয়া চালু হলে রাজ্যের কোষাগার থেকে সরাসরি অধ্যাপক ও কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের প্রভিডেন্ট সংক্রান্ত নিয়মকানুনেও কিছু বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-কাতালোনিয়া ও বাংলার টিমের বৈঠক
রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন নতুন বেতন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করা হয়েছে। রাজ্যের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জানিয়েছে, বেতন দেওয়ার অধিকার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের হাতে গেলে যদি কারোর বেতন আটকে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুই করার থাকবে না। সাম্প্রতিক কালে একাধিক বিষয়ে দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এবং রাজ্যপালের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়ে যেভাবে হস্তক্ষপ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সেটা মোটেই ভালভাবে নেয়নি উচ্চশিক্ষা দপ্তর। তারপরেই এই এইচআরএমএস নিয়ে বৈঠক ডাকায় প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষক সংগঠনগুলি।