সংবাদদাতা, হুগলি : বিজেপির সভায় প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথা কাটাকাটি, অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ থেকে হাতাহাতি কিছুই বাদ গেল না। কোন্নগরের মাস্টারপাড়া এলাকার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানান তাঁরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই মহাঅস্বস্তিতে পড়েছে পদ্মশিবির। এলাকার বিজেপি সমর্থক শিখা ভট্টাচার্যর বাড়ির নিচেই প্রধানমন্ত্রী জনঔষধি কেন্দ্র। ছাদে ছিল বিজেপির সভা। সেই সভায় নিজেদের মধ্যেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটান বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন-সাক্ষীদের পাশে কুম্বলে-ভাজ্জি
ঘটনার কথা স্বীকার করে বাড়ির মালিক শিখা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার বাড়ির ছাদে মিটিং করার জন্য অনুমতি চায় বিজেপি। অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মিটিং চলাকালীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা, তারপর হাতাহাতি। বাড়ির সামনে ভিড় জমান এলাকার মানুষ।’’ এলাকার বাসিন্দারা শিখা ভট্টাচার্যের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘‘এর ফলে এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে।’’ সভায় ছিলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে অন্য নেতা-কর্মীরা। শিখা দেবী জানান, আর কোনওদিন তাঁর বাড়িতে বিজেপির মিটিং করতে দেবেন না। ক্ষমতায় না এসেই যে দলের এই অবস্থা, ক্ষমতায় এলে তারা কী করবে!
আরও পড়ুন-কলকাতা লিগে প্রিমিয়ার ‘এ’ ও ‘বি’ মিশে গেল, ডায়মন্ড হারবারের প্রতিপক্ষ তিন প্রধানও
বাড়ির নিচের প্রধানমন্ত্রী জনঔষধি দোকানের এক কর্মচারী বলেন, ‘‘যখন মিটিং চলছিল তখন আমরা দোকানেই ছিলাম। মিটিংয়ের মাঝেই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে ঝামেলা, সেখান থেকে হাতাহাতি। ভিড় জমে যায় বাড়ির সামনে।’’ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে প্রায়ই বিজেপির মিটিং হয়, কিন্তু কালকের মিটিংয়ে এমন ঝামেলা শুরু হয় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। প্রশাসনকে বলা হবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’’ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব সময়ই ছিল। এবার সেটা মানুষের সামনে আসছে। মানুষ দেখুক এই দল কেমন।’’ গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির।