প্রতিবেদন : ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার বাজেটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে আগ্রহীদের দিশা দেখিয়েছিলেন। সেইমতো শিল্পস্থাপনে ঋণদানের বহর বাড়িয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। আর তার ফলেই বিপুল কর্মসংস্থানের আশা দেখছে রাজ্য। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য ব্যাঙ্ক যে পরিমাণ ঋণ দিয়েছে, তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আবেদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন-জিতল বার্সেলোনা
এর ফলে কর্মসংস্থানে জোয়ার আসবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনিক সভা থেকে সেই সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র এ-ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠক শেষে। ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান অমিত মিত্র বলেন, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পে আমরা এ বছর ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলাম। ফেব্রুয়ারির শেষে তা প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। মার্চ শেষে অর্থাৎ এই অর্থবছরে সেই অঙ্ক দেড় লক্ষ কোটিতে পৌঁছবে। তিনি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন, এই বিপুল ঋণদানের পরিসংখ্যানই কাজের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী প্রতি এক কোটি টাকা বিনিয়োগে ন্যূনতম ৩৭ জনের কর্মসংস্থান হয়।
আরও পড়ুন-বসন্তে বইমেলা
সেই নিরিখে রাজ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান হতে চলেছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার সময় এই ঋণের অঙ্ক ছিল মাত্র ৮ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। তারপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ প্রদানেও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে রাজ্য। ২০১১-১২ অর্থবর্ষে যেখানে ঋণপ্রাপক গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৩ হাজার, তা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছেছে ৮ লক্ষ ১৮ হাজারে। সেইসময় ঋণের অঙ্ক ছিল মাত্র ৫৫৩ কোটি টাকা। এখন প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। মার্চ শেষে তা ২৪ হাজার কোটি ছোঁবে। আর গোষ্ঠীর সংখ্যা ৯ লক্ষ পেরিয়ে যাবে। এক্ষেত্রেও বাড়বে কর্মসংস্থান।