সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : বিজেপি শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নয়, সেই সঙ্গে তুকতাক, ঝাড়ফুঁক, কালাজাদুর দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তারই প্রমাণ মিলল নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রামে। সেখানে নলধড়কা চালিয়ে চোর ধরার অনুমতি দিয়েছিলেন বিজেপি পরিচালিত গ্রাম-পঞ্চায়েতের প্রধান মৈত্রী গুড়িয়া ও সদস্য শিবু কামিলা। পঞ্চায়েতের লেটার প্যাডে লিখিত সেই অনুমতিপত্র প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিডিও সুপ্রতিম আচার্য বলেন, পঞ্চায়েতের পিডিও-কে (পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট অফিসার) এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-মিলছিল না বিধবাভাতা সমস্যা মেটালেন বিডিও
তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। মূলত এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের কী ভূমিকা রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশ দেবেন, সেই মতো পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। সেই সঙ্গে পীড়িত পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতারও নির্দেশ পঞ্চায়েত প্রশাসনকে দিয়েছেন বিডিও। উল্লেখ্য, একটি চুরির ঘটনায় গ্রাম্য আলোচনাসভায় চোর ধরতে ওঝা ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য পঞ্চায়েতের অনুমতি চাওয়া হয়। লিখিত অনুমতিও দেয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তাতে ওঝা এসে তুকতাকের মাধ্যমে চোর সাব্যস্ত করে এক মহিলাকে।
আরও পড়ুন-পূর্ব মেদিনীপুরে আবার জয় তৃণমূলের
অভিযোগ, প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্বামী ও পুত্রবধূ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর। অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে কিছুদিন সপরিবার গাঢাকা দেয় গোটা পরিবার। পরে বাড়ি ফিরে এলেও অভিযুক্তদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এজন্য পঞ্চায়েতপ্রধান ও সদস্যের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবকেই দায়ী করছেন ওঁরা। পুরো ঘটনায় এবার প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।