অশান্ত জেলায় এখন অখণ্ড শান্তি বিরাজ করছে। একদা পিছিয়ে-থাকা আদিবাসী মানুষজনকে তুলে আনায় জেলার উন্নয়ন আক্ষরিক অর্থেই সার্বিকভাবে হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে উঠেছে এখন আত্মনির্ভর এক জেলার নাম।
শিক্ষা : ছটি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৪টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়েছে। ৩৫টি স্কুল মেরামত হয়েছে। কেশপুর, ডেবরা ও ঘাটালে তিনটি সাঁওতালি স্কুল। কেশপুরে আদিবাসী স্কুল ও হস্টেল ভবন তৈরির কাজ একত্রে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাঁকুড়ায় শিল্পায়নের ঘোড়াও জোর দৌড়চ্ছে
স্বাস্থ্য : দাঁতন ১ ব্লকের ভুরিঙ্গি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওপিডি ভবন তৈরি হয়েছে। ৫৩টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মানোন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
পরিকাঠামো : ৮৫টি জল সংগ্রহের কাঠামো, ৩টি চেক ড্যাম এবং ৬টি কূপ খনন করা হয়েছে। গোয়ালতোর শিল্প পার্কে ডব্লুবিএসইডিসিএল ২০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও সরকার পশ্চিম মেদিনীপুরে-সহ চারটি জেলায় ৪০৯.২০ কোটি টাকায় ৭০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প পাস হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-আর পিছিয়ে নেই উত্তর দিনাজপুর জেলা
রাস্তা : কালাবেড়িয়া-পিরাকাটা-ধানসোল-লালগড় রাস্তা ও কেশপুর চন্দ্রকোনা টাউন রাস্তা তৈরি হয়েছে। পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় ৪৭১.১১ কিলোমিটার জুড়ে ৪১৮টি নতুন রাস্তা তৈরির কাজ এবং ১টি রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে।
জনমুখী প্রকল্প : জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ জনকল্যামুখী প্রকল্পগুলো থেকে লাভবান হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে উপকৃত হয়েছেন ১১.২২ লক্ষ মহিলা। ঐক্যশ্রী থেকে লাভবান ৯.০২ লক্ষ পড়ুয়া। স্বাস্থ্যসাথী থেকে লাভবান ১৩.২৩ লক্ষ বাসিন্দা। খাদ্যসাথী পেয়েছেন ৪৬.৫৭ লক্ষ মানুষ। ৮.১১ লক্ষ মানুষ জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন। আদিবাসীদের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েেছ। জয়জোহার পেয়েছেন ৩৬.৬ হাজার মানুষ। তফসিলিবন্ধু পেয়েছেন ৪৭.৯৮ হাজার মানুষ। কন্যাশ্রী পেয়েছে ৪.৭৬ লক্ষ ছাত্রী।
আরও পড়ুন-সেতু-সড়ক, শিক্ষা-শিল্পে টেক্কা দিচ্ছে ঝাড়গ্রাম
সংস্কৃতি : আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে বিডিও অফিসে বীরসা মুণ্ডার মূর্তি বসানো হয়েছে। সিদো-কানহুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধুমধাম করে পালিত হল হুল দিবস।