হোম ডেলিভারি, অনলাইন ফুড ডেলিভারি, ক্লাউড কিচেন শব্দগুলির সঙ্গে বর্তমানে কমবেশি বেশিরভাগ মানুষই পরিচিত। রান্না করতে ইচ্ছে করছে না বা হাতের কাছে ইচ্ছামতো কিছু খাওয়ার সরঞ্জাম নেই, চিন্তা নেই কোনও, ফোন থেকে খাবার অর্ডার করাটা এখন শুধুমাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, ইটালিয়ান সবরকমের খাবারই আজকাল অনলাইন অর্ডার দিয়ে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ আমরা আলোচনা করব আচার নিয়ে। আচার তৈরি করা অনেকটাই পরিশ্রমের, আর আচার খেতে প্রায় সবাই ভালবাসে। তাই অনেকেই আচার খেতে ভালবাসলেও বানানোর পরিশ্রমটা করতে চান না। সেক্ষেত্রে ঘরে তৈরি আচার পেলে সেটা সকলেই নিতে চাইবেন। আচার একবার বানালে আর নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন রেখে খাওয়া যায়। তাই চাহিদাও প্রচুর থাকে আচারের। এই আচার থেকেই আয়ের পথ খুঁজে বের করেছেন ডানকুনির সানিয়া ময়রা।
আচারের ব্যবসা করার কথা
কীভাবে মাথায় এল?
এই প্রশ্নের জবাবে সানিয়া জানান, ‘‘আমি রান্না করতে ভালবাসি। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি। জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনে মাস্টার ডিগ্রি করার পর বেশ কিছু বছর চাকরি করেছি। ব্যবসা করার ইচ্ছে বহুদিন ধরেই ছিল মাথায়, কিন্তু কী ধরনের ব্যবসা করব সেই নিয়ে মনে একটু বিভ্রান্তি ছিল। সত্যি বলতে, প্রথমে ভেবেছিলাম খাবার হোম ডেলিভারি করব। কিন্তু তারপর মনে হল খাবারের থেকেও বেশি এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে আচারে। বিভিন্নরকম সবজি দিয়ে আচার বানানো যাবে। আমি এখন প্রায় ২৭/২৮ রকমের আচার বানাই। আমার এখন প্রতি মাসে ৪০০/৪৫০ বোতল আচার বিক্রি হয়। তাই উপার্জন আপাতত সচ্ছল।
আরও পড়ুন-বৈষম্যের মেঘে ঢেকেছে আকাশ
আমার আচার কলকাতার বাইরে বিভিন্ন জেলায় এমনকী রাজ্যের বাইরে যেমন পুণে, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, গাজিয়াবাদ, হায়দরাবাদ, অসম, সিকিম, বেনারস এইসব জায়গায় যায়। এমনকী ভারতের বাইরে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের থেকেও প্রচুর অর্ডার পাই। তাঁরা ভারতে আসেন যখন, তখন ফেরার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যান। আমার একটা ফেসবুক পেজ আছে সুপারডিল নামে। এটাই আমার আচারের ব্র্যান্ড। সেখানে আমার কনট্যাক্ট ডিটেলস আছে, ফোন বা ওয়াটসঅ্যাপে অর্ডার নিয়ে থাকি।”
খুব অল্প পুঁজি নিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। তবে যে কোনও ব্যবসা করার ক্ষেত্রেই শুরুতে সেটার সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করাটা খুব জরুরি। সঠিক প্রশিক্ষণ দরকার। আচার বানানো এবং তা সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি জানা থাকলে এই ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যতে এগোনোর কথা ভাবা যেতেই পারে। আচার তৈরি ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কোনও জিজ্ঞাসা থাকলে ফেসবুক পেজ ‘SUPER DILL’-এ প্রশ্ন করতে পারেন।