প্রতিবেদন : টানা তিন মাস ধরে চলা অশান্ত মণিপুরের দুই প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে সাহসী দু’জন মহিলাকে রাষ্ট্রপতি (INDIA- President) যেন নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যসভায় মনোনীত করে নিয়ে আসেন, আর্জি জানান সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)। তৃণমূল কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন, মণিপুরের নারীদের উপর যে মারাত্মক নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাঁদের ক্ষতি হয়েছে তা সংশোধন করার জন্য জাতীয় ট্র্যাজেডির এই সময়ে এটাই ন্যূনতম প্রত্যাশা। বুধবার সকাল ১১.৩০টা নাগাদ মণিপুর ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ইন্ডিয়া জোটের ২১ জন সদস্য। এছাড়াও ছিলেন ১২ জন সংসদীয় দলনেতা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুস্মিতা দেব। ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অধীর চৌধুরী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব। মল্লিকার্জুন খাড়্গে রাষ্ট্রপতিকে জানান, টানা ৯২ দিন ধরে মণিপুরে অশান্তি চলছে অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও পর্যন্ত একবারও মণিপুর পরিদর্শনে গেলেন না। পরে সাংবাদিকদের সামনে মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানান, আমরা রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল মণিপুর পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে এসেছে। মণিপুরের মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা আমরা রাষ্ট্রপতির সামনে তুলে ধরেছি।
আরও পড়ুন- করমণ্ডল বিপর্যয়ের দু’মাস পার, এখনও এইমসে দাবিহীন ২৯ দেহ!
জানা গিয়েছে, টানা তিনদিন ধরে রাজধানী-সংলগ্ন বিজেপি-শাসিত আরেক রাজ্য হরিয়ানায় যে জাতি হিংসার ঘটনা ঘটছে সে-কথাও রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছেন ইন্ডিয়া (INDIA- President) জোটের সদস্য ফারুক আবদুল্লাহ।
এদিকে, বুধবার দিল্লির আমলাদের অধিকার-সংক্রান্ত বিল বা দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল শাসন (সংশোধনী) ২০২৩ নিয়ে চর্চা হওয়ার কথা ছিল লোকসভায় দুপুর দুটো থেকে। কিন্তু মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ট্রেজারি বেঞ্চের হই-হট্টগোলের জেরে বৃহস্পতিবার এগারোটা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।