নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : সংসদে হামলা ও বিরোধীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে শুক্রবার একযোগে প্রতিবাদে নামছে ইন্ডিয়া (Parliament- India Alliance)। উভয় কক্ষেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে আরও আগ্রাসী নীতি নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোট (Parliament- India Alliance)। বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার দেওয়া ভিজিটার্স পাস ব্যবহার করে যে কাণ্ড ঘটিয়েছে সাগর শর্মারা, তার শেষ দেখে ছাড়তে চায় ইন্ডিয়া শিবির। অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ লোকসভার ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে শুক্রবার তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিরোধী সাংসদরা হাতে পোস্টার নিয়ে উভয় কক্ষে বিক্ষোভ দেখাবেন।
পোস্টার হাতে সাংসদদের সদনে প্রবেশ করা যাবে না, এই নির্দেশ অমান্য করলে সেই সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে সরকারপক্ষ নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই নির্দেশকেই হাতিয়ার করে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠতে চলছে ইন্ডিয়া শিবির। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া প্রসঙ্গে স্পিকার ওম বিড়লা বিষয়টিকে লোকসভার গাফিলতি বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও স্পিকারকে দায়ী করতে চান না বিরোধী শিবিরের নেতারা। ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য, এই ঘটনার দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বক্তব্য, যদি হাতে পোস্টার নেওয়ায় সাসপেন্ড করা হয়, তাহলে আরও বড় আকারে, আরও বেশি সাংসদকে সাসপেন্ড করা হোক।
শুক্রবার পোস্টার হাতে একবারে সামনের সারিতে থাকবেন তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির সংসদীয় নেতারা। পিছনে থাকবেন দলের বাকি সাংসদরা। এই ইস্যুতে বাকি সাংসদদের সাসপেন্ড করা হলে শুক্রবারই সভা বিরোধীশূন্য হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা চাই, প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাই, প্রতাপ সিমহাকে বহিষ্কার করা হোক।
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই হামলার ঘটনা যদি বিরোধী শিবিরের কোনও সাংসদ মারফত হত, তাহলে তিনি তো সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে যেতেন। ট্রেজারি বেঞ্চের একজন সাংসদের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগের পরও কোনও পদক্ষেপ করা হল না। যেখানে আইনসভার সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেখানে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও বিবৃতি দিলেন না। এটাই কি গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ? এভাবেই কি দেশে গণতন্ত্র চলছে?
আরও পড়ুন- সংসদে নিরাপত্তা দিতে পারে না, দেশের সুরক্ষা কীভাবে দেবে কেন্দ্র? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল