নিউ ইয়র্ক, ৬ জুন : আয়ারল্যান্ড (India-Ireland) দিনকয়েক আগে পাকিস্তানকে টি-২০ সিরিজে হারিয়ে জায়ান্ট কিলার হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রোহিত-বুমরারা হেলায় জিতে তাদের ফের মাটিতে নামিয়ে আনলেন! এই ম্যাচে ভারত জিতেছে ৮ উইকেটে। ৪৪ বল বাকি রেখেই।
নাসাউ মাঠের সব উইকেটই যে এক সেটা বুধবার স্পষ্ট হল। ড্রপ ইন স্পনজি উইকেটে হার্দিককে নিয়ে চার সিমারে খেলে আইরিশদের ৯৬ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ভারত ১২.২ ওভারে ৯৭/২ তুলে নিয়েছে। পণ্ডিতদের কথামতোই রোহিত আর বিরাট ইনিংস শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিরাট ১ রান করে আউট হয়ে যান। রান পাননি সূর্যকুমার যাদবও (২)। কিন্তু রোহিত অবসৃত হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৫২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে যান। জয়ের সময় ঋষভ ৩৬ ও শিবম দুবে রান না করে উইকেটে ছিলেন।
টসের সময় রোহিত যা বলেছিলেন, খেলার পরও সেটাই বললেন। এই উইকেট সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারণাই ছিল না। রবিবার এখানেই পাকিস্তান ম্যাচ। রোহিত বলছিলেন, পরিস্থিতি এরকমই থাকবে ধরে নিয়ে তাঁরা এগোবেন। তাঁদের লক্ষ্য সেই ম্যাচ থেকেও ২ পয়েন্ট তুলে নেওয়া। পাক ম্যাচেও ভারত চার সিমারে খেলবে কি না রোহিত অবশ্য স্পষ্ট করেননি।
টসের সময় রোহিত বলছিলেন, এখানে আমাদের মানিয়ে নেওয়ার যে ব্যাপার ছিল, সেটা হয়েছে। ব্যাপারটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু আমরা পেশাদার। এরকম পরিবেশে আগেও খেলেছি। জানি কী করতে হয়। আমরা যেরকম পরিবেশে খেলে অভ্যস্ত, এটা তার থেকে আলাদা। তাই আগে ওদের ব্যাট করতে দিলাম যাতে টার্গেট দেখে ব্যাট করতে পারি। তাঁরা সেই পরিকল্পনামতোই এগোলেন।
আরও পড়ুন-আজ যুবভারতীতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারত ও কুয়েত মুখোমুখি
আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক পল স্টার্লিং বলছিলেন, তাঁরা নেদারল্যান্ডসে প্রস্তুতি সেরে নিউ ইয়র্কে এসেছেন। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছেন। কিন্তু স্টার্লিং (২) এদিন শুরুতেই আউট হয়ে গেলেন অর্শদীপের বলে। সেই স্পঞ্জি উইকেটের শিকার তিনি। বল থমকে এল। তিনি আগে শট খেলে গেলেন। ক্যাচ গেল ঋষভের হাতে। ওই ওভারেই আরেক ওপেনার অ্যান্ডি বলবির্নিও (৫) বোল্ড হয়ে যান অর্শদীপের বলে। স্কোর তখন ৩ ওভারে ৯/২।
যশস্বী, কুলদীপ, চাহাল ও সঞ্জু স্যামসনকে বাইরে রেখে এদিন খেলতে নেমেছিল ভারত। যার অর্থ, এই উইকেটে তিন জেনুইন সিমার ও হার্দিকের উপর ভরসা রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। অর্শদীপ নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া ধাক্কা দেওয়ার পর হার্দিক এসে প্রথম ওভারেই তুলে নেন লর্ক্যান টাকারকে(১০)। এরপর বুমরা যখন হ্যারি টেক্টরকে (৪) তুলে নেন, বোর্ডে ৪৩/৪। পরিস্থিতি আরও খারাপ হল কার্টিস ক্যাম্ফারকে (১২) বুমরা ফেরানোয়।
এত তাড়াতাড়ি আইরিশদের অর্ধেক ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার কারণ হল নরম উইকেটে নতুন বলের হার্ডনেসকে কাজে লাগাতে পেরেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। এরপর সিরাজ যে বলে জর্জ ডকরেলকে (৩) ফেরালেন সেটা গুড লেংথ থেকে উঠে এসেছিল। ১০ ওভারে আয়ারল্যান্ডের রান দাঁড়িয়েছিল ৪৯/৬। তখনও সিমাররাই শুধু হাত ঘুরিয়েছেন।
আয়ারল্যান্ড (India-Ireland) যে বড় রানে যাবে না, সেটা তখনই পরিষ্কার। সেটা হয়ওনি। ১৬ ওভারে তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ৯৬ রানে। দ্বাদশ ওভারে অক্ষর বল করতে এসেছিলেন। প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান ব্যারি ম্যাকার্থিকে (০)। বাকিটা বুমরা ও হার্দিকের কামাল। বুমরা দুটি, হার্দিক তিনটি, অর্শদীপ দুটি ও অক্ষর একটি উইকেট নিয়েছেন। এদিন রোহিতের সঙ্গে জয়ের কারিগর এই বোলাররাই।