প্রতিবেদন : সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে ইসলামাবাদকে নোটিশ পাঠাল ভারত। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি দীর্ঘ ৬২ বছরের সমস্যা। এর আগে পাকিস্তানের আপত্তিতে বেশ কয়েকবার এই জলচুক্তি সংশোধনের কাজ আটকে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি পরিবর্তনের বিষয়ে পাকিস্তানকে অবহিত করতে ২৫ জানুয়ারি নোটিশ পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। সংশ্লিষ্ট কমিশনারের মাধ্যমে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ওই নোটিশে কিসেনগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-জোর করে টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট
গত সাত বছর ধরে ভারতের ওই দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি থমকে রয়েছে। কিসেনগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ নিয়ে পাকিস্তান আপত্তি জানিয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকেই বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসলামাবাদকে ৯০ দিন সময় দিয়েছে ভারত। অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনায় বসতে পাকিস্তানকে আহ্বান জানিয়েছে ভারত। উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জলচুক্তি হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আয়ুব খান স্বাক্ষর করছিলেন সেই চুক্তিতে।
আরও পড়ুন-বসে যাচ্ছে নৈনিতাল, হৃষীকেশও! আতঙ্ক
দুই দেশের জলবণ্টনের ব্যাপারে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই চুক্তি অনুসারে শতদ্রু, বিপাশা ও রাভির মতো পূর্বদিকে বয়ে আসা নদীর জলে বাধাহীনভাবে ব্যবহার করতে পারবে ভারত। অন্যদিকে পশ্চিমে বয়ে যাওয়া সিন্ধু, চেনাব ও ঝিলাম নদীর জলের অধিকাংশই পাবে পাকিস্তান। তবে চুক্তি অনুযায়ী ওই সব নদীর উপর জলবিদ্যুৎ বা বিভিন্ন প্রকল্প বানানোর অধিকার ভারতের রয়েছে। কিসেনগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তিতে ২০১৫ সাল থেকে বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। এই মুহূর্তে ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে। এই পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে সিন্ধু জলচুক্তিকে হাতিয়ার করল ভারত।