ফ্লোরিডা, ১৩ অগাস্ট : ব্রেন্ডন কিংয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ টি-২০ ম্যাচ ৮ উইকেটে জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে পকেটে পুরলেন ক্যারিবিয়ানরা। ফলে দীর্ঘ সাত বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল সেই ২০১৬ সালে। কিংকে দারুণ সঙ্গ দিলেন নিকোলাস পুরান। কিং শেষ পর্যন্ত ৫৫ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১২ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন-এগিয়ে বাংলা
রবিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হার্দিক পান্ডিয়া জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের বোলারদের পরীক্ষার মুখে ফেলতে চান। মন্থর পিচে তাঁর বোলাররা কেমন বল করেন, সেটা দেখে নিতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। তবে এই পরীক্ষায় ডাহা ফেল হার্দিকের বোলাররা! জেতার জন্য ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই অন্যতম ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০ রান করে অর্শদীপ সিংয়ের শিকার হন মেয়ার্স। এর পরেই জুটি বাঁধেন কিং ও পুরান। দ্বিতীয় উইকেটে ঝড়ের গতিতে ১০৭ রান যোগ করেন দু’জনে। ৩৫ বলে ৪৭ রান করে পুরান তিলক ভার্মার বলে আউট হলেও ম্যাচ ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকেই ঢলে পড়েছে। বাকি কাজটা অনায়াসে সেরে ফেলেন কিং এবং শাই হোপ (১৩ বলে অপরাজিত ২২ রান)।
আরও পড়ুন-ইসিএল-এর হেলদোল নেই, ফের ধসে বিপন্ন রানিগঞ্জ
এদিন বাঁ হাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়ে চমক দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল। পঞ্চম বলেই যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট করে দেন আকিল। আগের ম্যাচেই ঝকঝকে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো যশস্বী এদিন মাত্র ৫ রান করে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের ভারতীয় শিবিরকে ধাক্কা দেন আকিল। এবার তাঁর বলে লেগ বিফোর উইকেট হন শুভমন গিল (৯)। আগের ম্যাচের দুই নায়ককে দ্রুত হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন-রাজ্যের প্রতি ক্রমাগত আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও কৃষিতে স্বীকৃতি, বাংলাকেই মডেল করার পরামর্শ কেন্দ্রের
ওই পরিস্থিতিতে ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। দু’জনের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি চালিয়ে খেলছিলেন বাঁ হাতি তিলক। কিন্তু ১৮ বলে ২৭ রান করার পর তিনি রোস্টন চেজের শিকার হন। নিজের বলে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন চেজ। ফলে ৬৬ রানেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসেছিল ভারত। ব্যক্তিগত ২৮ রানে রোমারিও শেফার্ডের বলে জীবনদান পান সূর্যকুমার। যদিও শেফার্ডের পরের বলেই আউট হন সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ১৩)। এই সিরিজে ধারাবাহিকভাবে সুযোগ পেলেও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ সঞ্জু।
আরও পড়ুন-আজ জেলা পরিষদ গঠন তৃণমূলের
রান পেলেন না হার্দিক (১৮ বলে ১৪), অক্ষর প্যাটেলরাও (১০ বলে ১৩)। এর পরেও যে ভারত স্কোরবোর্ডে ভদ্রস্থ রান তুলতে পেরেছিল, তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য সূর্যকুমারের। ৪৫ বলে ৪টে চার ও ৩টে ছয় মেরে ৬১ রান করে আউট হন তিনি। ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন শেফার্ড। দু’টি করে উইকেট পান আকিল ও জেসন হোল্ডার।