প্রতিবেদন : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল ভারত। বুধবার ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী উপরাষ্ট্রদূতকে তলব করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। মার্কিন প্রতিনিধিকে বলা হয়, কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মন্তব্য করেছে, তা অবাঞ্ছিত ও অনভিপ্রেত।
আরও পড়ুন- দিলীপের উসকানিতেই আক্রমণ, জখম তৃণমূল কর্মীকে দেখতে এসে অভিযোগ কীর্তির
লোকসভা ভোটের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আবগারি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে। নিম্ন আদালতের নির্দেশে তাঁকে ইডি হেফাজতে রাখা হয়। আদালতে ইডির দাবি, কেজরিওয়ালই আবগারি নীতির মূল পান্ডা। ১০০ কোটি টাকা তিনি ঘুষ নিয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা উদ্ধার করতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সংশয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বলেছিল, তারা আশা করে বিচার স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে হবে, দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষিত হবে। কেজরি নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার অধিকার থেকে যেন বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করুক ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই খবর দিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা। এর আগে জার্মানির পক্ষ থেকেও কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে একই ধরনের সংশয় প্রকাশ করে ভারত সরকারকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। কেজরি ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের এহেন প্রতিক্রিয়ায় চাপে মোদি সরকার। এধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য উষ্মা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। এর আগে জার্মানির কূটনীতিককে তলব করে সাউথ ব্লক একই রকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। বুধবার দুপুরে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রচার করা হয়। তাতে বলা হয়, কূটনীতিতে অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় ও সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি। দুই দেশই গণতান্ত্রিক হলে এই শিষ্টাচার আরও বেশি করে কাঙ্ক্ষিত। না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির জন্ম হয়। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুতগামী করার জন্য সেই ব্যবস্থা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বিষয়ে দোষারোপ করা অনভিপ্রেত। যদিও লোকসভা ভোটের আগে যেভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে তার পিছনে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করে একাধিক দেশ। আর তাদের সেই বার্তা ভোটের আগে বিশ্বগুরুর তকমাধারী মোদির জন্য মোটেই স্বস্তির নয়।