রায়পুর: গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে (India vs Australia) ভেসে থাকার অক্সিজেন জুগিয়েছে। ম্যাক্সি অবশ্য বুধবার আরও কয়েকজনের সঙ্গে দেশে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু গুয়াহাটিতে দলকে তিনি যে বার্তা দিয়েছেন, সেটাই রায়পুরে অজিদের ড্রেসিংরুমে সমতা ফেরানোর আবহ তৈরি করে ফেলেছে।
বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে একটা সময় ১৩৪/৫ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia)। সূর্যরা তখন চাপ ধরে রাখতে পারলে ওখানেই ৩-০ হয়ে যেত। তাহলে আর ম্যাড ম্যাক্সের ওই তাণ্ডব দেখতে হত না। ৮৬ রানে তাঁর ক্যাচ পড়েছে। ম্যাথু ওয়েডের স্ট্যাম্পের সুযোগ নষ্ট করেছেন ঈশান কিশান। এরপর হাত ম্যাক্সওয়েল আর ভারতকে ম্যাচে ফিরতে দেননি। আর তাতেই সিরিজ এখন ১-২। অর্থাৎ এখনও ভেসে আছে সদ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া দল।
মাঝে-মধ্যে দু’একটা আইপিএলের ম্যাচ। লিজেন্ডস ক্রিকেট। এসবই চলে রায়পুরে। তাই সূর্যরা এখানে পা রাখার পর তাঁদের নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই ভক্তদের মধ্যে। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার মুখে তাদের নিরাশ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। টিম বাস থেকে এদের উদ্দেশে হাত নেড়েছেন সূর্যরা। তাতেই দিল খুশ ভক্তদের। তবে এই খুশি আরও বাড়তে পারে শহিদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সূর্যরা সিরিজের উপর নিজেদের নাম খোদাই করে ফেলতে পারলে।
শ্রেয়স আইয়ার বিশ্বকাপের পর বিশ্রাম পেয়েছিলেন। শেষ দুই ম্যাচে তাঁকে দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। তিনি যদি এখানে খেলেন তাহলে হয়তো বাদ পড়বেন তিলক ভার্মা। যিনি এই সিরিজে একেবারেই চাপ ছাপ ফেলতে পারেননি। গুয়াহাটিতেও প্রায় রান আ বল পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন তিলক। উল্টোদিকে ঋতুরাজের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের জন্য সেটা ধরা পড়েনি। কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে তিলক যদি আর একটু শট খেলতে পারতেন, তাহলে ম্যাক্সওয়েলের পক্ষে ভারতের রান তোলা সম্ভব হত না।
রায়পুরের এই উইকেটে ভালই রান ওঠে। কিন্তু ছত্তিশগড়ের এই মাঠে রাতের দিকে শিশির সমস্যা করতে পারে। তখন বোলারদের বল গ্রিপ করতে মুশকিল হয়। আগের ম্যাচে এই সমস্যায় পড়েছিলেন আবেশ, প্রসিধরা। ঋতুরাজ বলেছেন মনে হচ্ছিল যেন ভেজা বলে খেলছি। ফলে টস এখানেও গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তবে একটা ভাল ব্যাপার হল ম্যাচের উপর বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। গরমও সমস্যা করবে না। শুধু আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে সন্ধ্যায় যে হাওয়া বইবে তাতে সিমাররা অবশ্যই সুবিধা পাবেন।
টি ২০ বিশ্বকাপের আগে হাতেগোনা কয়েকটা ম্যাচ পাচ্ছেন সূর্যরা। সুতরাং এখন সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানেই সিরিজ নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলতে পারলে সেটা সূর্যদের মনোবল বাড়াবে। তাছাড়া আমেদাবাদ ফাইনালে হারের কাঁটাও যে এখনও খচখচ করছে!
আরও পড়ুন- লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল হাওড়া সদর আইএনটিটিইউসি